বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চীনের সঙ্গে আমেরিকার শুরু হয়ে গিয়েছে চরম বাণিজ্য যুদ্ধ। এই প্রেক্ষিতে পারস্পরিক দীর্ঘকালের জটিলতাকে সরিয়ে ভারত ও চীন বৃহত্তর স্বার্থে আমেরিকার আগ্রাসী বাণিজ্যিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে একটি যৌথ সমঝোতায় আসার পথ খুঁজতে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই ট্রাম্পকে ঠেকাতে তাই জিনপিং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে উদ্যত হয়েছেন। বস্তুত মামাল্লাপুরমের ইনফর্মাল বৈঠকে জিনপিং এবং মোদি অনেক বেশি করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পারস্পরিক সহায়তার উপর জোর দিতেই চাইছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির জেরে ভারত ও চীন যথেষ্ট বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সঙ্কটে পড়ছে। তাই ইতিমধ্যেই আমেরিকার পাল্টা একটি জায়ান্ট ফ্রি ট্রেড জোন চুক্তি করার লক্ষ্যে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ নামক সংগঠন তৈরি হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই ব্যাঙ্কে ওই মঞ্চের বৈঠক। ১৬টি রাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত এই মঞ্চ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনৈতিক মঞ্চ হতে চলেছে। চীনের নেতৃত্বে ভারত রাজি হয়েছে।
দুপুরে জিনপিং চেন্নাই এয়ারপোর্ট থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরের মামাল্লাপুরমে যান সড়কপথে। প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই সেখানে ছিলেন ভেস্তি, অঙ্গবস্ত্রমের ট্র্যাডিশনাল তামিল পোশাকে। মামাল্লাপুরমের প্রাচীন মন্দিরগাত্রের স্থাপত্য মোদি ঘুরিয়ে দেখান জিনপিংকে। এরপর তাঁদের মধ্যে ডাব পান সহযোগে হয় কিছু হাল্কা আলোচনা। তবে এদিনের টানা কয়েক ঘণ্টার আলাপচারিতায় ছিল না কোনও কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজেও মিলিত হন দু’জনে। তবে প্রধান বৈঠকটি হবে আগামীকাল সকালে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ইনফর্মাল বৈঠকে কোন বিষয়ে আলোচনা হবে, এটা বলা সম্ভব নয়। তবে প্রথমদিনের আলাপচারিতা থেকে স্পষ্ট, ভারত ও চীন বার্তা দিতে সফল যে, নতুন সমীকরণের দিকে হাঁটছে প্রাচীন দুই সভ্যতা।