কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
রাজ্যের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্টেট রুরাল লাইভলিহুড মিশন (এসআরএলএম) প্রকল্পে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মোট দেড় লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৫ হাজার ২৬২টি গোষ্ঠী তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। কোচবিহার (৭১.০৭ শতাংশ), হাওড়া (৫৪.৫৩ শতাংশ), উত্তর দিনাজপুর (৫১.৮৪ শতাংশ), পুর্ব মেদিনীপুর (৫০.৬৮ শতাংশ) ও পশ্চিম মেদিনীপুর (৫১.৮৪ শতাংশ) জেলায় কাজের গতি মোটের উপর সন্তোষজনক। কিন্তু জলপাইগুড়ি (৯.৩৯ শতাংশ), হুগলি (১১.৩৭ শতাংশ), মুর্শিদাবাদ (১৩.৫৮ শতাংশ), বাঁকুড়া (১৭.১৩ শতাংশ) সহ ১০টি জেলার কাজের গতি বেশ কম বলেই সার্বিকভাবে গোটা রাজ্যের হার এতটা কম বলে মনে করছেম সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তারা।
রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ পেতে সহায়তা করে রাজ্য সরকার। চলতি বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার ‘ক্রেডিট লিঙ্কেজ’ বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে অর্থের জোগান নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৩ হাজার ৩২৫ কোটি টাকার ক্রেডিট লিঙ্কেজ নিশ্চিত করা গিয়েছে। রাজের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কাজ এগলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রেডিট লিঙ্কেজের কাজ আরও ভালো হতে পারত। তবে বছরের শেষে টার্গেট পূরণ নিশ্চিত বলেই দাবি করেন তিনি। এসব কারণে গোষ্ঠীগুলির হাতে অর্থ পৌঁছতে যাতে দেরি না হয়, তার জন্য পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে খবর।