আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আদালত চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেও সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। তাছাড়া চাকরি বাতিলের সরকারি আদেশও হয়নি। তবে, এর মধ্যে শিক্ষকরা স্কুলে আসতে ইতস্তত বোধ করছেন। অনেকে সেই মানসিক অবস্থাতেও নেই। সরকার হয়ত এটা বুঝবে।’ এ বছর শিক্ষক-প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব ভাগ করে বিষয়ভিত্তিক এবং পাঠবহির্ভূত জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য সামার প্রজেক্টের রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে সরকার। সেখানে এমনকী, স্থায়ী লাইব্রেরি, মিউজিয়ামে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সরকারি অফিস প্রভৃতিতে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে, লোকসভা নির্বাচন, চরম আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ‘আউটডোর’ প্রজেক্টগুলি কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয় ছিল। এবার শিক্ষকদের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে বসে করার মতো প্রজেক্টগুলিও অনিশ্চিত হয়ে গেল।
একজন জেলা স্কুল পরিদর্শক বলেন, ‘সরকার খুব বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সামার প্রজেক্টের বিষয়গুলি বেছেছে। এগুলি করতে পারলে ছাত্রছাত্রীরাই উপকৃত হবে। তবে, বেশকিছু স্কুলে এখন শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে। কেউ যদি আসতে না চান, জোর করে তো তাঁকে আনা যাবে না।’ শুধু সামার প্রজেক্টই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এ বছরই একটি অভিনব কর্মশালার পরিকল্পনা করেছে। সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বুটস্ট্র্যাপ প্রোগ্রাম’। একশোরও বেশি স্কুল তাতে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে। কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ছ’টি বিষয়ে কী কী পড়ানো হবে, পেশাগত সম্ভাবনা কী রয়েছে, তা নিয়েই কর্মশালা হবে। যদিও, নয়া পরিস্থিতির ফলে অন্তত অফলাইনে সেই কর্মশালা আয়োজনের সম্ভাবনা অনেকটাই কমল। তবে, অনলাইনে সেই সুযোগ থাকছে বলে অনেকেই মনে করছেন। প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এই কর্মশালা আয়োজিত হবে।