আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
প্রথম দু’দফার ভোটে কমবেশি সব রাজ্যেই প্রদত্ত ভোটের হার কমেছে। তার অন্যতম একটি কারণ হল, বুথ স্তরে বিজেপির শক্তি প্রদর্শনে ঘাটতি। নিজেদের ভোটার, কর্মী এবং নেতাদের ময়দানে নামাতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব। বিশেষ করে আদি বিজেপির অনুগামীদের। রাজ্যে রাজ্যে ক্ষোভ প্রকট হয়েছে যে, এই দল আর বিজেপি নেই। মোদির দলে পরিণত হয়েছে। আগে নেতা-কর্মীরাই ছিলেন বিজেপির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখন? কোন নেতা মোদি ও অমিত শাহের অনুগতদের অনুগত, সেটাই বিবেচ্য। আর তাই এবার দেশজুড়ে বহু কেন্দ্রে পুরনো আমলের নেতা-কর্মীরা ময়দানে নেই। পাশাপাশি যে শতাধিক এমপিকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একটি বড় অংশের অনুগামী ও কর্মীরা এবার নতুন প্রার্থীর হয়ে প্রচারে সক্রিয়ভাবে থাকছেন না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উত্তরপ্রদেশের বেরিলি কেন্দ্র থেকে আটবারের এমপি সন্তোষ গঙ্গোয়ারকে এই ভোটে টিকিট দেওয়া হয়নি। কুড়মি সম্প্রদায়ের অন্য প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হলেও গঙ্গোয়ারের দীর্ঘকালের অনুগত সেনাবাহিনীকে সেই নতুন প্রার্থীর প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। দক্ষিণ দিল্লির হেভিওয়েট এমপি রমেশ বিধুরিকে মোদির বিজেপি প্রার্থী করেনি। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে দক্ষিণ দিল্লিতে এবার বিজেপি জিতবে কি না, সেই সংশয়ও তৈরি হয়েছে। অসমে বিজেপির প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন গোহেন রীতিমতো বিদ্রোহই করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অসমে বিজেপি দু’ভাগ হয়ে যাচ্ছে। পুরনোদের যেভাবে কোণঠাসা করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর নতুনদের সামনে এনে বিজেপির অসময়ের সাথীদের অপমান করা হচ্ছে। এর ফল ভুগতে হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এই প্রবণতা রাজ্যে রাজ্যে। সর্বত্র এই একই হাল। বাজপেয়িজি ও আদবানিজির আমলের বিজেপিকে মুছে ফেলা হচ্ছে। এখন নতুন বিজেপি।’
নরেন্দ্র মোদির কাছে সবথেকে ভয়ের ব্যাপার হল, আগামী পাঁচটি দফায় যদি এভাবে চলতে থাকে, মোদি এবং অমিত শাহকে গরিষ্ঠতার অনেক আগেই থমকে যেতে হবে। আশঙ্কার এই চোরাস্রোত বিজেপির অন্দরেও বইছে। আর তাই ঘাটতি দেখা যাচ্ছে কর্মকাণ্ডেও। পুরনোরা যেমন প্রচারে নেই, তেমনই দলের কমিটেড ভোটারদের বুথে নিয়ে আসার জন্য প্রবল কোনও মরিয়া চেষ্টাও করছে না মোদির বিজেপি।