পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ এদিন খারিজ করে দিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর দাবি, আদালত না চাইতেই তিনবার স্বতঃপ্রণোদিত হলফনামা দাখিল করে অযোগ্যদের সম্পর্কে তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল। তিন দফায় নবম-দশমে বাতিল করা হয়েছিল ৯৯৩ জন প্রার্থীকে। একাদশ-দ্বাদশে ৮১১ জন, গ্রুপ সি পদে ১১৩৩ জন এবং ২ হাজার ৩১৩ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে। র্যাঙ্ক টপকে নিয়োগ, ওএমআরের নম্বরে হেরফের প্রভৃতি বহু কারণে এঁদের অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করে এসএসসি। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকেও এসএসসির ওই হলফনামা জমা দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বলেন, ওএমআর শিট এসএসসির কাছে ছিল না। সিবিআই তাদের যেমন তথ্য দিয়েছিল, তা মিলিয়েই যথাসম্ভব অযোগ্যদের চিহ্নিত করেছে এসএসসি। এরপর যাতে এমন না ঘটে, তাই আগামী পরীক্ষাগুলির ওএমআর শিট ১০ বছর সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য আদালতের রায় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ছিলেন। তাঁর বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা রায়ের আগেই তা জেনে যাচ্ছেন। ওন্দার বিজেপি বিধায়ক আগেভাগে বলে দিচ্ছেন, ৬০ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ হবে। তবে কি বিজেপির পার্টি অফিস থেকে রায় টাইপ করে হাইকোর্টে যাচ্ছে? নাকি রায় লেখার সময় বিজেপির নেতারা উপস্থিত থাকছেন?এই প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে। চাকরি দিতে না পেরে চাকরি খেয়ে বিজেপি পৈশাচিক উল্লাস করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চাকরিহারাদের মধ্যে নিয়তির সবচেয়ে বড় পরিহাসের শিকার হয়েছেন ইন-সার্ভিস শিক্ষকরা। এঁরা অনেকেই কর্মরত শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও মামলা করে ২০১৬ সালের পরীক্ষায় বসার অনুমতি আদায় করেছিলেন। কর্মরতদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। সেই বিচারপতি বসাকের রায়েই ফের চাকরি বাতিল হয়ে গেল এই শিক্ষকদের।