পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
আজ ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং আসনে ভোট। ২৪ এপ্রিল থেকেই সেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে ‘সাইলেন্স পিরিয়ড’। মোট ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে দার্জিলিংয়ে ভোট হবে মোট ১১৯৯টি বুথে। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই দলে দলে পাহাড়ে ভিড় জমিয়েছে বাঙালি। দার্জিলিং মেল থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গগামী সব ট্রেনেই পুরো বুকিং রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঠাসা বুকিং রয়েছে পাহাড়ের হোটেল এবং হলিডে হোমগুলিতে। ওইসময়ের মধ্যে কমবেশি অন্তত ২৫০০ থেকে ৩০০০ পর্যটক থাকবেন দার্জিলিংয়ের শীতল মনোরম পরিবেশে। তাঁদের বেশিরভাগই বাঙালি। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, শহরতলি এবং বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ গিয়েছেন দার্জিলিংয়ে।
২৩ এপ্রিল সপরিবারে দার্জিলিংয়ে পৌঁছেছেন উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসতের বাসিন্দা জয়ন্ত পাল। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভোটের আবহ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা বোঝার উপায় নেই। ভোটের দিন আমরা এখানেই থাকছি।’ অজিত লামা হলেন দার্জিলিংয়ের স্থানীয় এক ট্যুর অপারেটর। তিনি বলেন, ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল প্রায় ভালোই বুকিং রয়েছে হোটেলগুলিতে। তবে ভোটের দিন দার্জিলিং থেকে বিভিন্ন স্পটে ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হতে পারে। কারণ শুধুমাত্র ভোটের দিনই গাড়ি কম চলবে। দার্জিলিংয়ের আর এক হোটেল মালিকের কথায়, অনেক পর্যটকই ভোটের সময়টুকু হোটেলেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, কমিশনের তরফেও পর্যটকদের জন্য কোনোরকম বিধি-নিষেধ নেই।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, সাইলেন্স পিরিয়ডে যা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেসব রাজনৈতিক দলগুলির জন্যই, সেখানে পর্যটকদের কথা উল্লেখ নেই। জেলা প্রশাসনের তরফেও একই খবর মিলেছে—সাইলেন্স পিরিয়ডে কিংবা ভোটের দিন, দার্জিলিংয়ে থাকার জন্য পর্যটকদের ক্ষেত্রে তেমন কোনও বিধি-নিষেধ নেই।