আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
ভোট চলাকালে বিশেষত কোচবিহারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সেখানে উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। সি ভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, ভোট চলাকালীন তিনি নিজে কোচবিহারে থাকবেন। সরেজমিনে এলাকার পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু তাতে সায় দিল না কমিশন।
যদিও ভোট চলাকালে রাজ্যপালকে কোচবিহার যেতে নিষেধ করার পিছনে অন্য কারণও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যপাল কোনও জেলায় উপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলাকে কিছু বিশেষ প্রোটোকল মানতে হয়। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে উপস্থিত থাকতে হয়। এছাড়া রাখতে হয় রাজ্যপালের নিরাপত্তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা। ভোট চলাকালে, বিশেষ করে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে এসব প্রোটোকল মানায় যথেষ্ট ঝক্কি রয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই রাজ্যপালকে কোচবিহারে না-যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
অন্যদিকে, ভোটের অনেক আগে থেকে কোচবিহারে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে কমিশন। গত বিধানসভার ভোটে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (সিআইএসএফ) গুলিতে চার ভোটারের মৃত্যু হয়। এবার শীতলকুচির সেই বুথে নিরাপত্তায় সিআইএসএফকে না-রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, বাস্তব পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থির হয়েছে, সিআইএসএফের পরিবর্তে সেখানে বিএসএফ, সিআরপিএফ অথবা আইটিবিপির বাহিনী রাখা হবে।
২০২১-এর ১০ এপ্রিল ভোটের দিন শীতলকুচির জোরপাটকি গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলি চলার ঘটনা ঘটে। তাই কোচবিহার নিয়ে কিছুটা বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে কমিশন। ভোটের দিন প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জেলা কর্তাদের কাছ থেকে। সামগ্রিক অভিযোগের নিরিখেও এগিয়ে কোচবিহার। ফলে সেই জেলাকেই তুলনায় বেশি সংবেদনশীল ধরে জেলা প্রশাসনকে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলেছে কমিশন।