রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিনের সভায় একটাই কথা বারবার রিপিট টেলিকাস্টের মতো শোনা গেল মোদির গলায়—‘অব কি বার, চারশো পার’। কিন্তু যাঁদের ভোটে চারশো পারের স্বপ্ন দেখছেন, জিতলে তাঁদের জীবন বদলে দেওয়ার জন্য কী কী করবেন? সেকথা কার্যত উহ্যই থাকল মোদির ভাষণে। বুড়িছোঁয়া করে কেন্দ্রের কয়েকটি প্রকল্পের কথা বলে ফিরে গেলেন সেই ‘ট্রেলার’ মন্তব্যে। বললেন, ‘দশ বছরে যা হয়েছে, ট্রেলার ছিল। উত্তরবঙ্গকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই দিল্লিতে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করুন।’
মঙ্গলবার সকাল থেকেই তীব্র দাবদাহ দুই দিনাজপুরে। তৃণমূলকে ধার করে বললে, তীব্র গরমে দিনভর অপেক্ষা করে মানুষ পেলেন শুধুই ‘জুমলা’ ভাষণ। সঙ্গে দশ বছরের ফিরিস্তি। বালুরঘাট কেন্দ্রের তপনে সভা করে এদিন বায়ুসেনার বিশেষ চপারে মোদি রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে পৌঁছন। বিকেল ৪টে ২৪ মিনিটে ওঠেন রায়গঞ্জের মঞ্চে। বক্তৃতা মাত্র ২৬ মিনিটের। রায়গঞ্জের দক্ষিণ গোয়ালপাড়ায় প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের নির্বাচনী জনসভা থেকে মোদি এদিন বলেন, ‘পিএম আবাস যোজনায় ৫০ লক্ষের বেশি বাড়ি দিয়েছি। জল জীবন মিশন প্রকল্পে ৮০ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে। বুলেট ট্রেন দিয়েছি। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মুক্ত বিদ্যুৎ, ২০ লক্ষের মুদ্রা যোজনা—এসবই মোদির গ্যারান্টি। এছাড়াও বিনামূল্যে রেশন ও ২০ হাজারের বেশি রাস্তা তৈরি হয়েছে। এই তালিকা এত লম্বা যে, কয়েকটা দেশ কম পড়ে যাবে।’ কিন্তু দুই দিনাজপুরের কতজন মানুষের নাম তালিকায় থাকা সত্ত্বেও আবাসের টাকা ঢোকেনি? উত্তরবঙ্গে ক’টি বুলেট ট্রেন চলছে? এর উত্তর অবশ্য এলাকাবাসী পাননি।
দুই দিনাজপুর সফরে এদিন মোদি প্রথম নির্বাচনী সভাটি করেন বালুরঘাট কেন্দ্রের তপনে। সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে মোদির মুখে শোনা গিয়েছে শুধুই রেল উন্নয়নের কথা। বালুরঘাট রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বালুরঘাট-শিয়ালদহ ও দিল্লিগামী নতুন ট্রেনের কথা বলে সুকান্তকে ফের জেতানোর অনুরোধ করেন মোদি। মঞ্চে উঠেই বোল্লা কালীকে প্রণাম জানান। এই জেলার চুড়কা মুর্মুর আত্মবলিদানের কথাও স্মরণ করেন মোদি। এরপরেই তুলে আনেন আদিবাসী প্রসঙ্গ। মোদি বলেন, ‘বালুরঘাটে তিন আদিবাসী মহিলা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই এখানকার তৃণমূলের গুন্ডারা ওই মহিলাদের হাঁটু গেড়ে বসিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। আদিবাসী মহিলাদের হাঁটু গেড়ে বসানো তৃণমূল এবার মুখ থুবড়ে পড়বে।’ তৃণমূল এখানে দুর্নীতিকে ‘ফুলটাইম’ কাজ করে ফেলেছে বলেও তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও যাকে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেই বন্ড নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি মোদি। তবে আশ্বাস দিয়েছেন। কী সেই প্রতিশ্রুতি? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘গঙ্গারামপুরের তাঁতশিল্প ও হস্তশিল্পের প্রশংসা বিশ্বজুড়ে। বিজেপি শিল্পীদের জন্য চেষ্টা করছে। পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্প শুরু হয়েছে।’ কিন্তু কবে তা হবে? বলেননি মোদি।