রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তমলুক লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেন, আমরা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে যেসব অভিযোগ করতাম, উনি তার সত্যতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। তাই তাঁকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, উনি তাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। তিনি সিবিআইকে নিয়োগ মামলায় আমার নাম যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টারে তল্লাশি চালায় ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট। তা নিয়েও এদিন হলদিয়ায় মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন-কমান্ড। তিনি পরিষ্কার ভাষায় বলেন, এটা হতাশার বহিঃপ্রকাশ। হেলিকপ্টারে সার্চ নিয়ে কোনও অসুবিধা নেই। সেটা নির্বাচন কমিশন করতেই পারে। কিন্তু, কোনও কিছু না পেয়ে হেলিকপ্টারের ট্রায়াল রানের অনুমতি দেখানোর কথা বলা হল। এই এক্তিয়ার আয়কর বিভাগের নেই। আমরা তার ভিত্তিতে অভিযোগ করেছি। আমার সিকিউরিটির একজন ছবি তুলেছিলেন। তাঁকে ধমকে চমকে সেই ভিডিও ডিলিট করিয়েছে। এটা একটা ফৌজদারি অপরাধ। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। আইনগতভাবেও লড়াই করব।
তিনি আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেন, বিজেপির কোনও নেতার কপ্টারে তল্লাশি হয় না। দু’দিন আগে জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তখন নির্বাচন কমিশনের কোনও হেলদোল নেই। আমরা দু’-একদিনের মধ্যে এনআইএর পুলিস সুপারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব। সেখানে সিসিটিভির ফুটেজ জমা দেওয়া হবে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমার পর কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অথচ, রোজ রাজ্যে পুলিস ও প্রশাসনে অফিসার বদল করা চলছে। এই পূর্ব মেদিনীপুরে ডিএম পরিবর্তন করা হয়েছে। শুধুমাত্র বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে এই পরিবর্তন হচ্ছে। এটাই দুর্ভাগ্য। নির্বাচন কমিশন বিজেপির তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছে। আমরা বলব, ওদের যত শক্তি আছে প্রয়োগ করুক। ২০২১ সালে ওদের যে পরিণতি হয়েছিল এবার তার চেয়েও খারাপ পরিণতি হবে।
জলপাইগুড়িতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরি নিয়েও মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের নতুন বাড়ি তৈরির অনুমতি দিচ্ছে না। তারা চালু নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছে। তাতে বাড়ির সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে ২০ হাজার এবং আংশিক ক্ষতি হলে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু, আমরা নতুন বাড়ি তৈরি বাবদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে চাই। সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। -নিজস্ব চিত্র