বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
১৯৩১’এর ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম তরুণবাবুর। সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালের আবর্তে নিজেকে কোনওদিনই রাখতে চাননি তরুণ মজুমদার। শিল্প নয়, তাঁর কাছে চলচ্চিত্র ছিল বিনোদনের চালচিত্র। বিন্দুমাত্র আঁতলামো না করেই তনুবাবুর ঝুলি সমৃদ্ধ পাঁচটি জাতীয় পুরস্কারে। ১৯৯০’এ পেয়েছেন পদ্মশ্রী। সহজ-সরল পথেই চিরকাল তাঁর ছবি। অহেতুক কালোয়াতি একেবারেই পছন্দ করতেন না। জীবনপুরের ওপারে পৌঁছেও তা বজায় থাকল।
হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন ও সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। একে একে হাজির হন রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসু, সুকান্ত মজুমদাররা। এনটিওয়ান স্টুডিওয় শেষ শ্রদ্ধা জানান সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শিবাজি চট্টোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, শঙ্কর চক্রবর্তীরা। প্রণামেই শুরু, আর শেষও। কারণ, মৃত্যুর পর ফুল-মালা থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। এমনকী, শেষ ইচ্ছেকে সম্মান দিতেই তাঁর মরদেহ এনটিওয়ানের মাটি ছোঁয়নি। ওই স্টুডিওতেই যে তাঁর অফিস। আর আজ তার দরজায় ঝুলছে ছোট্ট তালা। সেখানেই রয়েছে একগোছা লাল গোলাপ, আর শোকবার্তা।
সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শুনেই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তরুণবাবুর স্ত্রী সন্ধ্যা রায়। কিন্তু শেষ দেখা হয়নি। মৃত্যুর পর দেহদান করতে চেয়েছিলেন ‘পথভোলা’ মানুষটি। পরিবারের সদস্যরাও তাই চেয়েছেন। এক নিকটাত্মীয়কে বলতে শোনা গেল, ‘উনি চেয়েছিলেন মরদেহর সঙ্গে যেন রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি থাকে।’ প্রিয় লাল পতাকা, আর কবিগুরুর অমর সৃষ্টি নিয়েই অনন্ত ঘুমে শায়িত বাঙালির প্রেম-পারিবারিক গল্পের রূপকার তরুণ মজুমদার।