বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন বনভোজনেও রাজ্য নেতৃত্বকে তোপ দাগতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বিদ্রোহীদের তরফে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বঙ্গ বিজেপির পক্ষে অশনি সঙ্কেত! সেটা টের পেয়েই নতুন অবস্থান তৈরি করেছি।’ ‘বেসুরো’ এই অবস্থান ঠিক কী কারণে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘সুরের থেকে বেসুর শুনতে বেশি ভালো লাগলে, সেটাই মানুষের কাছে গৃহীত হয়। আমাদের সেই অবস্থানই আগামী দিনে গ্রহণযোগ্য হতে যাচ্ছে।’
সব মিলিয়ে সাংগঠনিক নির্বাচনকে ঘিরে ঘরে-বাইরে বেনজির কোন্দলে কার্যত আড়াআড়ি বিভক্ত গেরুয়া শিবির। পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসের বৈঠক ফাটল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার সিএএ কার্যকর করার দাবিতে মতুয়া সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন শান্তনুবাবু। সেখানে তিনি অনুগামীদের আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত থাকারও বার্তা দিয়েছিলেন। তারপর এদিন পৃথক মঞ্চ গড়ার প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আয়োজন করা হয় বনভোজনের। সেই উপলক্ষে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের নহাটা গোপালনগরের বিজেপি নেতা হরিশঙ্কর সরকারের বাগানবাড়িতে মিলিত হন শান্তনুবাবুর অনুগামীরা। আগের বৈঠকের মতো এদিনও হাজির ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, রীতেশ তেওয়ারি, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিস বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতারা। যদিও পৃথক মঞ্চ গঠনের খবর অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
শান্তনুবাবু বলেন, ‘দলকে ভালোবাসি। আগামী দিনে সেই দলের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে, সুরক্ষা দেওয়া দরকার। শুধুমাত্র মন্ত্রিত্ব সামলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, এমন নয়। দলের ক্ষয় ও ক্ষতি হলে সেটাও দেখা দায়িত্ব বলে মনে করি। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা দলের ভবিষ্যতের পক্ষে ক্ষতিকারক। তা প্রতিরোধের জন্য একটি অবস্থান তৈরি করেছি মাত্র!’ সেই অবস্থান আগামী দিনে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই নিশ্চিত করেছেন প্রত্যয়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাংলায় দলের নিত্যদিনের ঝামেলার বিষয়ে এদিন প্রশ্ন করা হয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র গোপালকৃষ্ণ আগরওয়ালকে। বিরক্ত গলায় জবাব আসে, ‘এই মুহূর্তে দলের মূল লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন! সবাই ব্যস্ত। বাংলা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যাবতীয় সমস্যা রাজ্য পার্টিকে মেটাতে হবে।’