বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হ্যাকারদের হেনস্তার শিকার ওই উচ্চপদস্থ কর্তার পরিবার তাঁদের পরিচয় প্রকাশ্যে জানাতে চাননি। জানা গিয়েছে, তাঁরা দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন এলাকার বাসিন্দা। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ওই দম্পতি ডিএসপির আবাসনেই থাকেন। হেনস্তার শিকার ওই উচ্চপদস্থ কর্তা ডিএসপি প্ল্যান্টের একটি বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার পদে কর্মরত। তাঁর স্ত্রী বলেন, আমার ছেলে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। করোনা আবহে গত মে মাসে ছেলে অনলাইন ক্লাস করছিল। হঠাৎই স্কুলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হয়ে যায়। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ফের তাকে গ্রুপে নেওয়া হয়। কিন্তু, ফের লেফট হয়ে যায়। ওই ফোন নম্বর থেকে আমাদের অজান্তে পরিচিতদের ফোন ও এসএমএস যেতে শুরু করে। আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। হঠাৎই একদিন ওই মোবাইলে ইংরেজিতে লেখা এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল, ‘আমি হ্যাকার্স। তোমাদের ফোন হ্যাক করেছি’। ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।
তিনি আরও বলেন, ওই হ্যাকার্স পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তা মোবাইলে শুনে এবং গতিবিধি দেখে নিয়ে আমাদের তা এসএমএস করে জানাতে থাকে। আমরা টিভিতে কী সিরিয়াল দেখছি, সেটাও ওরা জানিয়ে দিচ্ছিল। বাড়ির তিনটি স্মার্টফোন এভাবে হ্যাক হয়ে যায়। তারা জানাতে থাকে, ‘আমরা বাংলা ভাষা জানি, আফগানিস্থানের বাসিন্দা।’ ‘এরিস-লরিস ও নভিস্বর হ্যাকার।’ ‘আই অ্যাম দ্য বিগেস্ট হ্যাকার্স অব ওয়ার্ল্ড।’ এরকম মেসেজ পাঠাতে থাকে। আমরা যখন পুলিসে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিলাম, তার কিছুক্ষণ পরেই এসএমএস করে জানানো হয়, থানায় অভিযোগ জানালে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নেওয়া হবে। ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত পড়ি। কী উদ্দেশ্যে আমাদের ফোন হ্যাক করা হয়েছে জানতে চাইলে, উত্তর দিচ্ছে ‘তোমাদের বিরক্ত করা।’ নতুন একটি মোবাইল ও সিমকার্ড কিনে নতুন করে ছেলের অনলাইন ক্লাস শুরু করেছিলাম। সেই ফোনও ফের হ্যাক করে নিয়েছে। কন্ট্যাক্ট লিস্ট ডিলিট করে দিচ্ছে। ডিএসপি সহ বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট করে দিচ্ছে। বিভিন্ন রকমভাবে আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। শেষমেশ গত ১০ জুলাই সাইবারক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এখনও একই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছি। ফোন সুইচ অফ করে রাখলেও তা অন করে দিচ্ছে। তাই তা আলমারির লকারে ঢুকিয়ে রেখেছি। যাতে আমাদের তারা দেখতে ও শুনতে না পায়। গতবছর ডিসেম্বর মাসে আমার দাদারও তিনটি স্মার্টফোন হ্যাক হয়েছে। পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছে দাদা। পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মতো একই বিবরণ মিলছে হ্যাকারদের কাছ থেকে। কিন্তু, আমরা সাধারণ মানুষ। আমাদের কেন হেনস্তা করা হচ্ছে বুঝে উঠতে পারছি না।