বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নদীবাঁধের স্থায়ী সমাধানই এই সরকারের আগামী দিনের লক্ষ্য। এই উপলক্ষে কল্যাণ রুদ্রের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হল। প্রকৃতি সহায় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষকে কীভাবে বাঁচানো যায় সেই ব্যাপারে রিপোর্ট দেবে কমিটি। ১১ এবং ২৬ জুন ভরা কোটাল। তার আগে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যশের জেরে এখনও বহু এলাকায় নোনা জল জমে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ওইসব অঞ্চলের পানীয় জলের সমস্যার সুরাহা করতে হবে অবিলম্বে।
যশের তাণ্ডবে ৩১৭টি নদীবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ১০ জুনের মধ্যে সেগুলি মরামতের কাজ শেষ হবে বলে এদিনের বৈঠকে জানানো হয়। শুধু মহেশতলার কাজ শেষ হবে ২৩ জুন নাগাদ। মৌসুনি এবং সাগরদ্বীপের কাজ শেষ হবে জুলাইতে। এই দ্বীপ দু’টিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। ভরা কোটালে তাঁদের ক্ষতি হতে পারে। যথাসময়ে তাঁদেরকে ফ্লাড রিলিফ সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, আদিগঙ্গা সাফ করার উপরেও জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন ক্যানাল থেকে আদিগঙ্গায় যে নোংরা জল এসে পড়ছে, তা রিসাইক্লিং কেন করা হচ্ছে না, তিনি জানতে চান। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের অন্তর্গত স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। সমস্ত স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দ্রুত চাঙ্গা করে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, এজন্য সৎ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করতে হবে। আদিগঙ্গার হাল ফেরাতে বায়ো টিটমেন্টের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বর্ষার সময় ডিভিসি পশ্চিমবঙ্গকে না জানিয়ে যেন ঝাড়খণ্ড থেকে জল না ছাড়ে। সেটা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার নজরদারি চান। ইতিমধ্যেই একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে রাজ্যের ১৭৫টি ব্লককে বন্যাপ্রবণ ও স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব জায়গার জন্য কুইক রেসপন্স টিম তৈরি রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
হাওড়া এবং বারাকপুর ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান রেডি করতে বলা হয়েছে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। এ বিষয়ে তিনি ফিরহাদ হাকিমের সাহায্য নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী খেয়াল রাখতে বলেছেন, হোটেলগুলিতে মরা মাছ বা মরা পশুর মাংস যেন কোনওভাবেই বিক্রি না-হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার উপরেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, সব দপ্তরের প্রধান সচিব এবং ডিএম, এসপিরা।