বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যদিও রানাঘাটের এমপি বলেন, আমার কোমরে ব্যথা ছিল। তাই কলকাতায় যেতে পারিনি। তবে তাঁর এই শারীরিক অসুস্থতার যুক্তিকে মানতে চাইছে না দলের অনেকে। কারণ, শপথ গ্রহণের দিন জগন্নাথবাবু ফুলিয়ায় আক্রান্ত এক কর্মীর বাড়িতে হাজির ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ওইদিন হাঁটাচলা করতে দেখা গিয়েছে। যদিও জয়ী প্রার্থীর ব্যাখ্যা, সাড়ে তিন ঘণ্টা গাড়িতে চেপে আমার পক্ষে কলকাতায় যাওয়া সম্ভব ছিল না। শপথগ্রহণের সময় এখনও আছে। সেক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তই আমার কাছে চূড়ান্ত।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, জয়ী প্রার্থীর বিধায়ক হিসেবে শপথ না নেওয়া কার্যত তাঁর এমপি পদ না ছাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অনেকেই বলেন, এবার পদ্ম শিবির বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল। তাই রাজ্যের বেশ কয়েকজন এমপিকে বিধানসভার প্রার্থী করে দল। অথচ ২মের ফলাফল গেরুয়া শিবিরের সেই আত্মবিশ্বাসে জল ঢেলে দিয়েছে। তাই বিধায়ক পদ ‘না পসন্দ’ রানাঘাটের এমপির। একথা তিনি নিজের ঘনিষ্ঠ মহলেও ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের অরিন্দম ভট্টাচার্য জয়ী হয়েছিলেন। এরপর তিনি তৃণমূল ও পরে বিজেপিতে যোগ দেন। এনিয়ে ভোটের আগে শান্তিপুরের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ফাটল চওড়া হয়েছিল। তাই শেষমেষ অরিন্দমকে সরিয়ে এমপিকেই এই কেন্দ্রে দাঁড় করিয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন জগন্নাথবাবু। সেক্ষেত্রে তাঁর এমপি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
কিন্তু ভোটের ফলাফলে রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি হয়। এই প্রেক্ষাপটে শান্তিপুর বিধানসভা উপনির্বাচন হলে বিজেপি কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে অনেকের মত। শহরের অনেকে বলেন, এই কেন্দ্রে মানুষের রায়কে নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে।