বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জঙ্গি হানা বা বড় ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজ্য পুলিসের নিজস্ব কমান্ডো বাহিনী রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সালুয়ায় কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ট্রেনিং স্কুলে তাদের বছর ভর প্রশিক্ষণ চলে। কমান্ডোদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তাঁদের এনএসজিতে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। প্রতি বছর ৩৬ জন কমান্ডোকে পাঠানো হয় এই প্রশিক্ষণের জন্য। তার আগে সালুয়ার এই স্কুলে কমান্ডোদের স্ক্রিনিং টেস্ট চলে। সেখানে যাঁরা যোগ্যতমান পেরতে পারেন, তাঁদের এনএসজিতে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলে।
রাজ্য পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্ক্রিনিং টেস্টের জন্য কমান্ডোদের পাভলভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মানসিক পরীক্ষা, বা স্ক্রিনিং টেস্ট করেন চিকিৎসকরা। অত্যন্ত কঠিন এনএসজি প্রশিক্ষণে যাওয়ার জন্য তাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত, তা দেখা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই পদ্ধতি চলে আসছিল। কর্তাদের বক্তব্য, এই মানসিক পরীক্ষা ব্যবস্থাটি তাঁদের খুব একটা কাজে আসছে না। কারণ যে পদ্ধতিতে গোটা পরীক্ষাপর্ব চালানো হয়, তা যথেষ্ট পুরনো। যে কারণে এই স্ক্রিনিং টেস্টে পাস করার পরেও এনএসজিতে গিয়ে কমান্ডোরা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। সেখানকার প্রশিক্ষণ পদ্ধতির সঙ্গে অনেকেই খাপ খাওয়াতে পারছেন না।
এখান থেকেই সাইকোমেট্রিক টেস্টের চিন্তাভাবনা মাথায় আসে আধিকারিকদের। এই পরীক্ষা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। এর মাধ্যমে একজন কমান্ডোর মানসিক অবস্থা, সে কতটা দক্ষ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কত দ্রুত সে নির্দেশ অনুসারে কাজ করতে পারে, তা জানা সম্ভব। সেই কারণেই আধিকারিকরা চাইছেন কমান্ডোদের বিভিন্ন ধরনের রিজনিং টেস্ট করাতে। বিভিন্ন ধরনের জটিল বিষয় তাঁদের সামনে তুলে ধরা হবে। সবটাই থাকবে প্রশ্ন আকারে। কার বুদ্ধি কত, তার পরীক্ষা নেওয়া হবে এই রিজনিং টেস্টের মাধ্যমে। আধিকারিকরা চাইছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়ার আগে কমান্ডোরা মানসিকভাবে পুরোপুরি চাঙ্গা থাকুন। আর জঙ্গিদের মোকাবিলায় উপস্থিত বুদ্ধি ও কুইক রিঅ্যাকশন খুব জরুরি। সাইকোমেট্রিক টেস্টের মাধ্যমেই কমান্ডোদের সেই উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
নবান্নের কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই টেস্টের জন্য কমান্ডো পিছু ১৫০০ টাকা খরচ পড়বে। বিশেষজ্ঞ সংস্থা দিয়ে তারা এই কাজ করাতে চায়।