বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিকে, জগদ্ধাত্রী নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠানো হল। শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। হুগলি জেলা প্রশাসন, পুলিসকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন তিনি। উল্লেখ্য, শনিবার ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী। চন্দননগর, কৃষ্ণনগর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ ঘটা করে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে। সমস্ত জায়গাতেই পুজো এবং বিসর্জন যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তার নির্দেশ এদিন নবান্ন থেকে দেওয়া হয়েছে। এবার মণ্ডপের আশেপাশের স্থায়ী দোকান ঘরগুলিকেই মণ্ডপসজ্জার উপকরণ করেছে খলিসানি সর্বজনীন। মণ্ডপে তৈরি করা হয়েছে আস্ত ট্রেন। থিমের নাম লকডাউন। সমস্ত দোকান, বাজার, ট্রেন চলাচল বন্ধ। খোলা কেবল চায়ের দোকান। তারই মধ্যে উঠে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্ট। পুজো উদ্যোক্তা নিমাইচন্দ্র দাস বলেন, করোনার কারণে মণ্ডপসজ্জার শিল্পী মেলেনি। বারোয়ারীর সদস্যরাই সব পরিকল্পনা করেছেন। করোনাকে আশ্রয় করেই থিম করেছে নিয়োগীবাগান নববালক সঙ্ঘ। তাদের থিমের নাম লড়াই। মৃৎশিল্পী থেকে মণ্ডপশিল্পী, ঢাকিদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তা প্রশান্ত রাহা বলেন, নানান উপকরণ, ঢাক, মডেল দিয়ে থিম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রথের সড়ক সর্বজনীনের থিম মাতৃ আরাধনা। ক্লাবকর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, পুজোর নানান আঙ্গিক তুলে ধরে মণ্ডপসজ্জা করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চল সর্বজনীন ডাকবাংলোর আদলে মণ্ডপসজ্জা করে পুজোর আয়োজন করেছে। ক্লাবকর্তা মোহিত নন্দী বলেন, করোনার কারণে এবার সেভাবে থিম করাই যায়নি। তেমাথা সর্বজনীন বরাবরই বৃহত্তম প্রতিমা গড়েই পুজো করে। এবারও সোনালি সাজে ২৩ ফুটের প্রতিমাই উদ্যোক্তাদের দর্শক টানার বাজি। ক্লাবকর্তা কৃষ্ণেন্দু দে বলেন, মায়ের অসামান্য প্রতিমাই আমাদের মুখ্য আকর্ষণ। কানাইলালপল্লি সর্বজনীন এবারে মায়ের আগমনে মানুষের মনে রঙ ফিরেছে, এই বার্তাকে তুলে ধরেছে। ক্লাবকর্তা বিশ্বজিৎ পোদ্দার বলেন, আমাদের থিম বিবর্ণ।
এক সময় দেশ-বিদেশের খবর জানার জন্য রেডিও আর খবরের কাগজের উপর নির্ভর করত মানুষ। তবে যুগের পরিবর্তনে সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই জায়গাগুলি অনেকটাই দখল করে নিয়েছে টেলিফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, বা টিভি। সংবাদমাধ্যমে পরিবর্তনের এই দিকটিকেই এবারে জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপে তুলে ধরেছে উলুবেড়িয়া ধূলাসিমলার টিম অফ স্পিরিট। ১৬ তম বর্ষে পদাপর্ন করা এই পুজো মন্ডপে ঢুকলেই টিভি থেকে রেডিও, টেলিফোন থেকে সংবাদপত্র, রানার থেকে পোস্টকার্ড, এমনকী খবরের কাগজ ছাপানোর মেশিনও চোখে পড়বে দর্শনার্থীদের। ক্লাব সম্পাদক দেবাশিস ব্যানার্জি জানান, করোনা পরিস্থিতির মাঝেও মানুষের অন্যতম ভরসা সংবাদমাধ্যম। সাধারণ মানুষের এই আগ্রহকে সম্মান জানিয়েছি আমরা।