বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এক অধ্যাপক বলেন, প্রথমে উপাচার্যের আইডি থেকে একটি মেল আসে। তাতে লেখা ছিল, ‘আর ইউ ফ্রি?’ ইতিবাচক উত্তর দেওয়ার পর আরেকটি মেল আসে, গিফট ভাউচার চেয়ে। এ-ও বলা হয়, আগের আইডিতে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বাকি যা কিছু কথাবার্তা হবে, সব পরের আইডিতেই। খটকা লাগায় পরের মেলটি খুঁটিয়ে দেখে অধ্যাপক বুঝতে পারেন, সেটিতে সুরঞ্জনবাবুর নাম থাকলেও, আইডিটি তাঁর নয়। কোনও সংস্থার ডিরেক্টর বলা হয়েছে তাঁকে। তখনই সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করায় আকাশ থেকে পড়েন সুরঞ্জনবাবু। বুঝতে পারেন, ফের অনলাইন দুর্বৃত্তদের খপ্পরে পড়েছেন তিনি। ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন, আগে সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফল না-মেলায় হাল ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
আর এক শিক্ষক বলেন, দুষ্কৃতীরা তাঁর ভাষা লক্ষ্য করেছে। তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে যেভাবে কথোপকথন শুরু করেন, সেই ভাষাতেই আসছে একটি প্রাথমিক মেল। তাতে সাড়া মিললে অন্য একটি মেল পাঠিয়ে প্রতারণার ছিপ ফেলে দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, এটা হ্যাকিংও হতে পারে আবার স্পুফও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আসল আইডির প্রায় কাছাকাছি একটি নকল আইডি তৈরি করা হয়। সেখান থেকে যায় মেল। সম্প্রতি ‘রাজস্থান গ্যাং’ এই দুষ্কর্মে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের খপ্পরে পড়তে হয়েছে কিছু আইপিএসকেও। তাঁদের নাম করেও মেল গিয়েছিল অনেকের কাছে। সুরঞ্জনবাবুও এর আগে হ্যাকারদের খপ্পরে পড়েছিলেন। তাঁর নাম করে কিছু আপত্তিজনক বার্তা গিয়েছিল অনেকের কাছে। সেবার তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেসবের কোনও সুরাহা হয়নি। অনেকের আশঙ্কা, খোদ উপাচার্যের নাম করে সামান্য আর্থিক লাভের আশায় দুষ্কৃতীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়সড় ক্ষতি করে দিতে পারে।