বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে কংগ্রেস পরিষদীয় দল কোনওভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে নির্বাচনী লড়াইয়ে যেতে যে আগ্রহী নয়, সেটা ওই বিধায়করাই বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের কথায়, বামেদের সঙ্গে জোট না-হলে বিধানসভা ভোটেও দল এককভাবে লড়াই করুক। তাতে দলের অবস্থার বিশেষ কিছু হেরফের ঘটবে না। যদিও আব্দুল মান্নান বামেদের সঙ্গে জোট করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। অধীর অবশ্য জোট করে লড়ার বিরোধিতা না করলেও বাম শিবিরের কথা মতো আসন ভাগাভাগি করার পক্ষে যে নন, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে জিতিনপ্রসাদ সব শুনে জোটের কোনও ফর্মুলা দেননি। তাঁর কথায়, প্রদেশ নেতৃনেত্বর সিদ্ধান্তকেই হাইকমান্ড গুরুত্ব দেবে। গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের সময় তাই হয়েছিল। দিল্লি কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না। তবে রাজ্যে কংগ্রেসকে আগে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের নামতে হবে।
আলোচনা শুরুর পর মাঝপথে তা ভেস্তে যাওয়ার পরিস্থিতি এড়াতে আব্দুল মান্নান-প্রদীপ ভট্টাচার্যদের মতো প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে এব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চাইছেন জোটের ফর্মুলার খসড়াটা হাইকমান্ড আগাম ঠিক করে দিক। সেই গুরুদায়িত্ব পালন করুন স্বয়ং অধীর। তারপর সেই ফর্মুলা নিয়ে বামেদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মান্নানরা। খসড়া ফর্মুলা জেনে বামেরা যদি জোটের দরজা বন্ধ করতে চায়, তখন সময় নিয়ে একক লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে পারবে কংগ্রেস।