বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। সেই আদালতের নির্দেশে তদন্তকারী পুলিক অফিসার কিশোরী ও তার অভিভাবকদের ওই জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পেশ করেছিল। সে ও তার বাবা-মা গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট করার জন্য কমিটির অনুমতি চায়। ৩০ জুলাই কমিটি অভিমত দেয়, কিশোরীর স্বার্থেই এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী ভ্রুণটি নষ্ট করা উচিত। তাই খড়গপুর এসডি হাসপাতালের সুপারকে অবিলম্বে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে মেয়েটিকে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, সেই বোর্ড ৪ অগস্ট জানায়, ভ্রুণটি এখন ২১.৫ সপ্তাহের। ১৯৭১ সালের মেডিকেল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট অনুযায়ী যেহেতু ২০ সপ্তাহের বেশি বয়সি ভ্রুণ অপসারণ করা যায় না, তাই এক্ষেত্রে গর্ভপাত করা যাবে না। এই প্রেক্ষাপটে মেয়েটির পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। ২৬ অগস্ট হাইকোর্ট ওই বোর্ডের কাছে জানতে চায়, গর্ভপাত করা হলে কি ভবিষ্যতে মেয়েটির শারীরিক কোনও সমস্যা হতে পারে? বোর্ড জানায়, গর্ভপাতের জেরে মেয়েটির জীবন সংশয়ের সম্ভাবনাও আছে। যদি করাও হয়, তা হলে যে হাসপাতালে আইসিইউ/এইচডিইউ সুবিধা এবং ২৪ ঘণ্টা ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিষেবা আছে, সেখানে তা হওয়া উচিত।
অন্য দিকে মামলাকারীদের আইনজীবী অর্ক ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, সুপর্ণা দেবনাথ ও অন্যান্যদের মামলায় এই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৯ সালে বলেছিল, ভ্রুণের বয়স ২৫ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে বলেই গর্ভপাতের অনুমতি অস্বীকার করা যায় না। মেয়েটির মানসিক যন্ত্রণা দূর করার স্বার্থে এমন গর্ভপাত জরুরি বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। এই প্রেক্ষাপটে বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেছেন, ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায় অনুযায়ী সম্পর্কিত আইনি বাধাই শেষ কথা নয়। মেয়েটি এখানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এই অনুমতি না দিলে তার মানসিক ক্ষত আরও বাড়বে।