বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এ বছর করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত্রগুলির প্রথম দিকেই থাকবে শিক্ষা। তার সঙ্গে দোসর হয়েছিল উম-পুন। মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শ্রেণিকক্ষ নির্ভর শিক্ষাদান কবে থেকে শুরু হবে, তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তার উপর ঝড়ে স্কুল ভেঙে পড়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, শৌচাগার, পানীয় জলের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় বহু শিক্ষকই পেশানির্ভর দায়দায়িত্বের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে, নিজেদের কিছুটা বিপন্ন করেই ছাত্রছাত্রী, তাদের অভিভাবক এবং সাধারণ নাগরিকদের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাঁদের সরকার অন্য চোখে দেখলে তাতে ভুল কিছু নেই বলেই মনে করছে শিক্ষা মহলের একাংশ।
শুধুমাত্র ত্রাণ বিলি বা উদ্ধার কাজে সাহায্য নয়, এই পরিস্থিতিতে বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতি প্রসারে যাঁরা সাহায্য করেছেন, তাঁরাও গুরুত্ব পাবেন। সেটা অনলাইন শিক্ষা যেমন হতে পারে, অন্যদিকে দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ুয়াদের পড়াশোনায় সাহায্য করাও হতে পারে। মিড ডে মিল বিতরণে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করা, বিভিন্ন সামাজিক প্রচারে অংশগ্রহণ, কলা উৎসব, ইন্সপায়ার অ্যাওয়ার্ড বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রীদের ভালো ফল করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলেও সেই শিক্ষকদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে।
৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবসে রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসা থেকে মোট ৪০ জনকে ‘শিক্ষারত্ন’ দেওয়া হবে। নিজেদের কর্মকাণ্ডের কথা জানিয়ে পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হবে শিক্ষকদেরই। অন্তত ২০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি আবেদনের যোগ্য। শনিবার থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১০ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে। ডিআই অফিসে প্রামাণ্য নথি সহ হার্ডকপি পৌঁছতে হবে ১২ আগস্ট। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক নবকুমার কর্মকার বলেন, শিক্ষকরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সফল করেন। দীর্ঘ ২০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে তা করে এসে শেষ চার মাসে শারীরিক কারণে হয়ত কোনও শিক্ষক সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারেননি। সেক্ষেত্রে তিনি যাতে বঞ্চিত না হন, এটাও সরকারের দেখা উচিত। স্টেট ফোরাম অব হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডহেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, সামাজিক কাজের বিষয়টি রাখা হয়েছে, সেটা ভালো। তবে এই সংক্রান্ত তথ্য শিক্ষাদপ্তর প্রশাসনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারত। যাঁরা দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করেন, তাঁরা নিজের ঢাক পেটাতে পছন্দ করেন না। শিক্ষকরা নিজেরাই আবেদন করবেন, এই পদ্ধতি না থাকলেই ভালো।