বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গড়ে ১২-১৩ টাকা কেজি দরে কেনা জ্যোতি আলু হিমঘরে ঢুকেছে। হিমঘরের ভাড়া সহ অন্যান্য কাজের জন্য কেজিতে আরও প্রায় ৫ টাকা খরচ হয়। এই পরিস্থিতিতে হিমঘর থেকে বের হওয়া আলু কেন এখন ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, এর কোনও সদুত্তর ব্যবসায়ীদের সংগঠন দিতে পারছে না। চাহিদা অনুযায়ী দাম বাড়ার যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের তরফে।
রাজ্য সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্ৰীর টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর অত্যধিক লাভ করার প্রবণতার জন্য দাম এতটা বেড়েছে। যেভাবে প্রতিদিন দাম বাড়ছে তা খুবই চিন্তার। হিমঘর মালিক সংগঠনের এক প্রবীণ কর্তা জানিয়েছেন, এবার কিছুটা কম পরিমাণে আলু মজুত হয়েছে। তাই এবার দাম বাড়বে এরকম একটা ধারণা ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে আলু ধরে রাখছেন।
কিন্তু খুব কম আলু কি এবার মজুত হয়েছে? ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের সংগঠনের হিসেবে এবার প্রায় ৫৭ লক্ষ টন আলু মজুত হয়েছে। গতবারের তুলনায় এটা প্রায় ৯ লক্ষ টন কম। গত দুই মাসের কিছু বেশি সময়ে প্রায় ১৩ লক্ষ টন আলু হিমঘর থেকে বেরিয়েছে। ফলে এখনও মজুত রয়েছে প্রায় ৪৪ লক্ষ টন। হিমঘর থেকে মাসে গড়ে ৬ লক্ষ টনের মতো আলু বের হয়। ফলে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারে চাহিদা মেটানোর পক্ষে পর্যাপ্ত আলু রয়েছে হিমঘরে।
দাম বাড়ার আরও একটি কারণ সংশ্লিষ্ট মহল থেকে বলা হচ্ছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে প্রচুর পরিমাণ আলু কেনা হচ্ছে। ২ কেজির প্যাক করে বাছাই ভালো মানের আলু দিতে হচ্ছে। তবে স্কুলে সরবরাহ করা আলুর জন্য বাজারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই, এটাও বলেছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।