বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৬টা নাগাদ হাতিটি রাইস মিলের মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকে। সেই সময় রাইস মিল বন্ধ ছিল। ভিতরে কোনও কর্মীও ছিল না। ছিলেন শুধুমাত্র নিরাপত্তারক্ষী। তাঁরা তখন প্রাণ বাঁচাতেই ব্যস্ত। হাতিটি গোডাউনে ঢুকে বিনা বাধায় সেখানে রাখা ধান, চাল দিয়ে আয়েস করে ভোজনপর্ব সারে। প্রায় ঘণ্টা খানেক পর উদর পূর্তি সম্পূর্ণ করে রাইস মিল থেকে বের হয়ে জিতুশোলে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে ওঠে। ততক্ষণের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে প্রচুর লোক ভিড় করেন। তাঁরা হাতিটিকে তাড়াতে থাকেন। তাড়া খেয়ে সে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে বিকাশ ভারতীর দিকে এগতে থাকে। রাস্তায় হাতি ঘুরতে দেখে দু’পাশে দাঁড়িয়ে যায় সমস্ত গাড়ি। তারপর হাতিটি ধীরে ধীরে জঙ্গলের দিকে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হেলোইচ্চি বলেন, রেসিডেন্সিয়াল হাতিটি খাবার সন্ধানে ওই মিলে ঢুকেছিল। এলাকায় ওই একটিই হাতি রয়েছে। হাতিটির গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত রাইস মিলের ম্যানেজার প্রবোধ মাহাত বলেন, হাতিটি মাঝে-মধ্যেই খাবারের জন্য মিলে চলে আসে। ধান, চাল খেয়ে ও ছড়িয়ে নষ্ট করে। তারপর কখনও প্রাচীর ভেঙে, কখনও গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। এদিন ১৫ বস্তা ধান ও চাল খেয়ে, ছড়িয়ে নষ্ট করেছে। হাতির উৎপাতে আমরা অতিষ্ঠ। বনদপ্তরকে আগে এনিয়ে বহুবার জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সোমবার ঝাড়গ্রামে দাপাদাপি করল এই হাতিটিই। ছবি: সুমন্ত সিনহা