বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
লকডাউন ঘোষণার পর প্রশাসনের পরামর্শ মেনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয় তারাপীঠ মন্দির। রাজ্য সরকার সোমবার থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ায় অধিকাংশ মন্দির কমিটি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভক্তদের জন্য দ্বার খুলে দিয়েছেন। কিন্তু, তারাপীঠ মন্দির কমিটি আরও ১৫দিন মন্দির না খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির তরফে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এখনই মন্দির খোলা হচ্ছে না। ১৪জুন ফের বৈঠকে বসে মন্দির খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সুরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তবে, ১৫জুন মন্দির খুললেও সংক্রমণ রোধে কিছু পরিবর্তন আনা হবে।
এতদিন গর্ভগৃহে প্রবেশ করে সিঁদুর, মালা পরিয়ে অঞ্জলি ও পুজো নিবেদন করার জন্য ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার তাঁদের নিরাশ হতে হবে। তারাময়বাবু বলেন, ১৫জুন মন্দির খুললেও পুণ্যার্থী, সেবাইত সকলের কথা চিন্তা করে পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা রদবদল আনা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের মায়ের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গর্ভগৃহের বাইরে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী গণ্ডি কাটা থাকবে। ভক্তরা সেই গণ্ডিতে দাঁড়াবেন। একে একে এগিয়ে এসে মাকে দর্শন করে বাইরে রাখা মায়ের পিতলের চরণে প্রণাম করে চলে যাবেন। শুধুমাত্র সেবাইতরা গর্ভগৃহে প্রবেশ করে পুজোর ডালা মায়ের কাছে নিবেদন করে নিয়ে এসে মন্দির চত্বরের নির্দিষ্ট জায়গায় ভক্তদের বসিয়ে অঞ্জলি পাঠ ও প্রসাদ তুলে দেবেন। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরের প্রবেশদ্বারগুলিতে আগত সকলের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। মাস্ক ছাড়া মায়ের দর্শন তো দূর, মন্দির চত্বরেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তাকর্মীরা মাস্ক, গ্লাভস ও ফেস শিল্ড পরে থাকবেন। সকলকে স্যানিটাইজার টানেল দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া পুজোর উপকরণের দোকানগুলিতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মন্দিরেও ভক্তদের হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও জলের ব্যবস্থা থাকবে। মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, মন্দির খুললেও সরকারের নির্দেশিকা মেনে বন্ধ থাকবে ভাণ্ডারা। পরবর্তী নির্দেশ এলে তবেই তা চালু হবে।
অনেকে বলছেন, তারাপীঠে যে হারে ভক্ত সমাগম হয় তাতে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা অসম্ভব। নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী যদি গণ্ডি কাটা হয়, তাহলে পুজোর লাইন রাস্তায় চলে এসে জটলা হবে। যদিও মন্দির কমিটি জানিয়েছে, সেটা দেখার জন্য নিরাপত্তাকর্মীরা তো থাকছেনই।