বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গোয়েন্দাদের দাবি, বিস্ফোরক সরবরাহ করার জন্য সে জেএমবিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সংগঠনের শীর্ষনেতা সালাউদ্দিনেরও সে প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছিল। বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা হন্যে হয়ে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। সে ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে। সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে এলাকায় ফেরে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা ঘরে ফিরছে। সেই সুযোগটাকেই সে কাজে লাগায়। বৃহস্পতিবার পরিযায়ী শ্রমিকদের মতোই সে লুঙ্গি এবং একটি পুরনো জামা পরে সূতির কাশিমনগর পঞ্চায়েত এলাকায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। তার মাসি সফেদা বিবি বলেন, অন্ধকার নামার পর ও হঠাৎ করেই আসে। কোথায় ছিল, কী কাজ করত সেসব কথা কিছুই জানায়নি। শুধুই বলে এদিকে ওদিকে ছিলাম। বিভিন্ন ধরনের কাজ করতাম। ওর চেহারা বদলে গিয়েছে। বড় দাড়ি রেখেছে। তাই প্রথমে চিনতে অসুবিধা হয়েছিল। করিমের স্ত্রী পারভিন বিবি বলেন, দু’বছর আগে পুলিস হঠাৎ করেই আমাদের বাড়িতে তল্লাশিতে এসেছিল। সেসময়ই ও ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। ফোনেও যোগাযোগ করেনি। বাড়িতে চার ছেলেকে নিয়ে খুব কষ্ট করে সংসার চালাতাম। ও আমাদের আত্মীয়ের বাড়িতে এসে উঠেছিল। সেটাও জানতাম না। শুক্রবার সকালে এলাকার লোকজনদের কাছে জানতে পারি পুলিস ওকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। তার সম্পর্কিত দাদা সফিকুল ইসলাম বলেন, ওর মতো শান্ত ছেলে গ্রামে আর কেউ নেই। আর্থিক কারণে নবম শ্রেণীর পর পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। সবসময় কাজ নিয়েই থাকত। কোনওদিন জোর গলায় কথা বলতে শুনিনি। ও জেএমবির লোক বলে বিশ্বাস করতে পারছি না।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এর আগেও মুর্শিদাবাদ থেকে জেএমবির সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। খাগড়াগড় কাণ্ডের সময়ও এই জেলার নাম উঠে এসেছিল। জেএমবি বহুদিন ধরেই সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ জেলায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। লকডাউনের আগে জালনোট পাচারের ঘটনা বেড়েছিল। জালনোট বা অস্ত্র পাচারের সঙ্গে এই সংগঠনের কোনও হাত রয়েছে কিনা তা আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেএমবি মাঝে এই জেলায় মহিলা সেল সক্রিয় করার চেষ্টা করেছিল। ধৃত জেএমবি জঙ্গিও ঘুঁটি সাজানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সংস্থা তার গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর জন্যই তাকে শ্রীঘরে যেতে হয়েছে।