বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য মুর্শিদাবাদ থেকে ৭৬ হাজার ২৭১টি, মালদহ থেকে ৭০হাজার ২১৭, দক্ষিণ ২৪পরগনা থেকে ৭০হাজার ৬৫৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া নদীয়া থেকে ৬৮হাজার ৪৩, উত্তর ২৪পরগনা থেকে ৫৯ হাজার ৬৬৯, পূর্ব বর্ধমান থেকে ২৭ হাজার ৯৭২টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রচেষ্টা প্রকল্পের জন্য প্রথমে লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতেই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। তাতেও অধিকাংশ জেলা থেকেই বিপুল সংখ্যায় আবেদন জমা পড়েছে। বীরভূম থেকে ৩৮হাজার ৫৭৭, কোচবিহার থেকে ১৪ হাজার ৫, হাওড়া থেকে ৩৬ হাজার ২৬৮, বাঁকুড়া থেকে ২১ হাজার ৪৯৬টি আবেদন জমা পড়েছিল। তবে ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, কালিম্পং, দার্জিলিং থেকে আবেদন কম জমা পড়ে। কালিম্পং থেকে মাত্র পাঁচজন আবেদন করেছিলেন। হুগলি থেকে ৩৮ হাজার ৩১০, জলপাইগুড়ি থেকে ৬৭৭১ জন আবেদন জমা করেছেন। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জমা পড়া আবেদনগুলির মধ্যে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৯০১ টি আবেদনপত্র যাচাই করা হয়েছে। যেসব আবেদনপত্র অসঙ্গতিপূর্ণ সেগুলি বাতিল করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ত্রুটিপূর্ণ আবেদন জমা পড়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। এই জেলার ৪৯ হাজার ৯১৫ টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৪ হাজার ৬৯০, দক্ষিণ ২৪পরগনার ৩০ হাজার ৯৭২ টি, হুগলির ২৬ হাজার ৭৭৬টি আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে। কোভিডের কারণে কাজ হারাননি এমন অনেকে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদনপত্র খুঁটিয়ে দেখে প্রশাসনিক আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নদীয়ায় ১২৫১, উত্তর দিনাজপুরে ১৪২০, মালদহে ১৯ হাজার ৬৯৭টি আবেদনপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রামের ৩৭১৭, পূর্ব মেদিনীপুরের ১১ হাজার ১৯২, হাওড়ায় ৬১১৯ টি আবেদন বাতিল হয়েছে। সব জেলাতেই পুরোদমে এই প্রকল্পের কাজ চলছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। কাজ হারিয়ে অনেকেই ঘরে ফিরেছেন। তাঁরা এই সময় প্রকল্পের সুবিধা পেলে উপকৃত হবেন। জঙ্গিপুরের শ্রমিক মোক্তার শেখ বলেন, বাড়িতে এসে বসে রয়েছি। কোনও কাজ নেই। আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেলে উপকার হবে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, প্রকল্পের কাজ চলছে।