বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যাত্রাপাড়া সূত্রের খবর, বর্তমানে চিৎপুরে অপেরার সংখ্যা ৪৫টি। আর রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ছোট-বড় মিলিয়ে অপেরা আছে প্রায় শতাধিক। এরমধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের নন্দকুমার, বেলদা, হুগলির কামারপুকুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট প্রভৃতি জায়গায় অপেরার সংখ্যা বেশি। অপেরা কর্তাদের বক্তব্য, যাত্রার ভরা মরশুম হল চৈত্র ও বৈশাখ মাস। কারণ গ্রামবাংলায় এই সময় নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। যেমন চড়ক, গাজন, চৈত্র সংক্রান্তি, নববর্ষ, ত্রিনাথের পুজো, রক্ষাকালী পুজো, শীতলা পুজো প্রভৃতি। এই সমস্ত পুজোকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তারা গ্রামে যাত্রা উৎসবের আয়োজন করে থাকে। এই দু’মাস আমাদের কাছে কঠিন সময়। নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। বছরের আর পাঁচটা মাসে যদি কিছুটা ক্ষতি হয়, তা এই মরশুমে পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। এবার চৈত্র মাস পুরোপুরি বরবাদ হয়ে গেল। বৈশাখ মাসেও একই হাল থাকবে বলে মনে হয়। ফলে এই বিপর্যয়ে যাত্রাপাড়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। অপেরা মালিকরা চান, এই অবস্থায় সরকার এগিয়ে এলে তবেই এই শিল্পকে কিছুটা হলেও বাঁচানো যাবে। তাঁদের কথায়, বিজ্ঞাপন, অপেরা অফিস পরিচালনা, অফিস কর্মীদের বেতন সহ নানা বিষয় নিয়ে আমরা বিচলিত। যাত্রাশিল্পের কলাকুশলীরা চৈত্রের ভরা মরশুমে কোথাও ১৫টি, কোথাও ২০টি করে শো পেয়ে থাকেন। সেই সুযোগ না থাকায় তাঁরাও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেন। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সমস্ত যাত্রার বুকিং বাতিল হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। এর সঙ্গে যুক্ত নিচুতলার কর্মীরাও। কাজ হারিয়ে এখন তাঁরা কার্যত অন্নহীন হয়ে পড়েছেন। করোনার জেরে চিৎপুরের যাত্রাপাড়ায় এখন চরম শূণ্যতা।