বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কিন্তু, দুই নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের (আর কে এস ওয়াই ২) গ্রাহকদের খাদ্যশস্য কিনতে হবে। এই শ্রেণীর গ্রাহকরা মাথাপিছু মাসে এক কেজি করে চাল ১৩ টাকায় ও এক কেজি করে গম ৯ টাকা দরে পাবেন। বিনা পয়সায় খাদ্য পাওয়া রেশন গ্রাহকের সংখ্যা এখন প্রায় আট কোটির কাছাকাছি। সেখানে আর কে এস ওয়াই ২ প্রকল্পের গ্রাহক সংখ্যা দেড় কোটির কাছাকাছি। খাদ্য দপ্তর ও রেশন ডিলারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আর কে এস ওয়াই দুই কার্ড থাকা অনেক গ্রাহক দোকানে গিয়ে বিনা পয়সায় চাল-গমের দাবি করছেন।
এদিকে এর মধ্যে কলকাতা পুর এলাকায় কুপনের ভিত্তিতে রেশন বণ্টন কীভাবে, তা নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন শহরের বেশ কয়েকজন বরো চেয়ারম্যান। যাঁরা বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি, তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়াও পুর প্রশাসনের স্বাস্থ্য, জঞ্জাল সাফাই সহ বেশ কয়েকটি বিভাগ এবং রাজ্য সরকারের দু’-তিনটি দপ্তরও ছিল। মেয়র বৈঠকের শেষে বলেন, বরোগুলি থেকে এই কুপনগুলি পাওয়া যাবে। যাঁদের নামে স্মার্ট কার্ড ইস্যু হয়েছে, অথচ, তাঁরা হাতে পাননি, তাঁদের জন্যই এই অস্থায়ী কুপন বিশেষভাবে বণ্টন করা হবে। যার সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৭২ হাজার। এই কুপন দেখালেই তাঁরা রেশন দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। আজ, শুক্রবার থেকে এই কুপন বরো অফিস থেকে বিলি করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
কলকাতা সংলগ্ন একটি এলাকায় রেশন দোকানে এই গ্রাহকদের বিনা পয়সায় চাল-গম দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। ওই এলাকার বিধায়ক রাজ্যের একজন মন্ত্রী। তিনি এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে স্থানীয় রেশন ডিলারদের আর কে এস ওয়াই ২ নম্বর গ্রাহকদের বিনা পয়সায় চাল-গম দিতে বলেন। ওই মন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি এ ব্যাপারে খাদ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। প্রয়োজনে তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকা থেকে অতিরিক্ত খরচ হবে তা দিয়ে দেবেন।
বিষয়টি খাদ্য দপ্তরের নজরে আসে, ওই মন্ত্রীর সঙ্গে দপ্তরের শীর্ষকর্তাদের কথা হয়। খাদ্য দপ্তরের চিন্তা হল, অন্যান্য এলাকার আর কে এস ওয়াই ২ গ্রাহকরা এটা জেনে একই দাবি তুললে কী হবে? এছাড়াও ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই, এমন অনেকেই বিনা পয়সায় চাল-গম চাইছেন। কার্ড না থাকা ব্যক্তিরা ফুড কুপন পেলে তবেই ৫ কেজি করে চাল-গম পাবেন। কুপন তৈরি ও বিতরণ করে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে তাঁদের খাদ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দপ্তর। একেবারেই রেশন কার্ড না থাকা লোকেদের জন্যও জেনারেল রিলিফ (জি আর) খাত থেকে মাসে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ওই চাল প্রশাসন বিলি করবে। কিন্তু কীভাবে বিলি হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। -নিজস্ব চিত্র