বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেখানে করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে সবাইকে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে কিছুটা অপ্রয়োজনেই ডাকঘরগুলি চালু রাখার যৌক্তিকতা কী, প্রশ্ন তুলছেন কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, কখনোই নিজেদের দায়িত্ব থেকে তাঁরা সরে যেতে চান না। কিন্তু এখনকার যা পরিস্থিতি, তাতে এই নির্দেশ কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এদিকে চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেলের অফিস থেকে প্রত্যেকটি রিজিয়ন কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনুমতি ছাড়া কোথাও পোস্ট অফিস বন্ধ করার বা পরিষেবা কমিয়ে আনার বা বন্ধ করার কোনো নির্দেশ দেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাক কর্মীরা। এই ব্যাপারে যোগাযোগ মন্ত্রক এবং ডাক বিভাগের সচিবকে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন তাঁরা। ন্যাশনাল ফেডারেশন অব পোস্টাল এম্প্লয়িজ, ফেডারেশন অফ ন্যাশনাল পোস্টাল অর্গানাইজেশনস, ভারতীয় পোস্টাল এম্প্লয়িজ ফেডারেশন এবং অল ইন্ডিয়া গ্রামীণ ডাক সেবক ইউনিয়ন একযোগে এই প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে। তাদের বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ডাক বিভাগ ব্যবসা বাড়ানোর যে সুযোগ খুঁজছে, তা আসলে কর্মীদের প্রাণের বিনিময়ে পেতে চাইছে তারা। যেখানে এখনও করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, সেখানে সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে পণ্য বা টাকা পৌঁছে দেবার কাজে শামিল হতে বলা হচ্ছে ডাককর্মীদের। যেখানে কর্মীরা ট্রেন-বাসের অভাবে কাজের জায়গায় পৌঁছতে পারছেন না, সেখানে কীভাবে ডাক পরিষেবা সম্পূর্ণ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, আইপিপিবি পরিষেবায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে টাকা লেনদেন করতে হয়। গ্রামীণ ডাক সেবক এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ কেন করবেন, তার কোন ব্যাখ্যা মেলেনি।
ডাক বিভাগের যা পরিকাঠামো, তাতে নিয়ম মেনে দূরত্ব বজায় রেখে কর্মীদের বসার স্থান সংকুলান হয় না। পাশাপাশি কোথাও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যান্ডওয়াশের মত ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই, যা দিয়ে করোনা আটকানোর চেষ্টা চালানো যায়। কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা কোনও কাজ করতে পিছপা নন। কিন্তু বাস্তব দিকটি খতিয়ে না দেখে যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে চাইছে, তা অমানবিক।