বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে ‘প্রিপারেটরি লিভ’ তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই উদ্বেগ শুরু হয়ে যায় শিক্ষকমহলে। কলেজ শিক্ষকদের একাংশের মতে, পড়ুয়াদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে যা করণীয় তা যেমন করতে হবে, তেমনই শিক্ষকদের মানোন্নয়নের দিকটিও দেখা দরকার। উত্তর কলকাতার একটি কলেজের বাণিজ্যের এক শিক্ষক বলেন, গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকরা প্রিপেরটরি লিভের দিন সেই সমস্ত কাজ করে থাকেন। কিন্তু আর্টস বা কমার্সের যে শিক্ষকরা মূলত গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁদেরও প্রস্তুতি নিতে হয়। কারণ সিবিসিএসে এমন অনেক নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা আমরা ছাত্রাবস্থায় পড়িনি। তাই এগুলি জানার জন্য শিক্ষকদেরও পড়াশোনা বা প্রস্তুতি নিতে হয়। ওই একটি দিন লাইব্রেরি কিংবা অন্যত্র বসে সেই কাজ করতে হয়। আবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা একটি কলেজের বিজ্ঞানের এক শিক্ষক বলেন, সরকারি কর্মীরা পাঁচদিন অফিস করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ও পাঁচদিন চলে। তাহলে কলেজের ক্ষেত্রে ছ’দিন হবে কেন? ইউজিসি’র নিয়ম মেনে চললে সময় এমনিই বেরিয়ে আসবে। ভর্তির সময় কমিয়ে দেওয়া হলে, সেখানেও অনেকটা সময় বাঁচবে। কারণ এখন অন্তত তিন মাস ধরে ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ওয়েবকুটার সভাপতি শুভদয় দাশগুপ্ত বলেছেন, প্রিপারেটরি লিভ কিন্তু আসলে ছুটি নয়। শিক্ষকদের গবেষণা বা নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য বরাদ্দ সময়। তাই একে ছুটি বললে ভুল হবে। উত্তর কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, শনি-রবিবার ছুটি থাকলে সব সমস্যা মিটে যাবে। সপ্তাহের মাঝে আলাদা করে সাধারণ ছুটি এবং প্রিপারেটরি লিভ নিতে হবে না।