বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অর্থ দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার চলতি বাজেটে অবসরপ্রাপ্তদের কথা মাথায় রেখেই পেনশন খাতে গতবারের তুলনায় প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ করেছে। স্বভাবতই পেনশনভোগীদের হকের বর্ধিত অর্থ দিতে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব নেই। কিন্তু কয়েকটি দপ্তরের আমলাদের একাংশের উদাসীনতার খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্যের কয়েক লক্ষ পেনশনভোগীকে। ওই কর্তাদের দাবি, ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু হওয়ার পর কর্মীদের সংশোধিত বেতন-পেনশন দিতে রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাউন্সেস এবং রিভিশন অব পেনশন জারি করতে হয়। অর্থ দপ্তরের তরফে যা ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। পাশাপাশি অর্থ দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ-পুরসভা-পঞ্চায়েতে কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য এ সংক্রান্ত পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। জানা গিয়েছে, কর্মরত স্কুল-কলেজ-পুরসভা-পঞ্চায়েতের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি। কিন্তু তারা অবসরপ্রাপ্তদের জন্য প্রয়োজনীয় রিভিশন অব পেনশন সংক্রান্ত আদেশনামা জারি করেনি। ফলে পর পর দু’মাস বর্ধিত পেনশন থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।
সূত্রের দাবি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-অধ্যাপকদের ক্ষোভের বার্তা নবান্নে পৌঁছতেই স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তর এ সংক্রান্ত ফাইল অর্থ দপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠায়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী তাতে স্বাক্ষর করেন। শুক্রবার উচ্চ শিক্ষা দপ্তর পেনশনভোগীদের জন্য পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও স্কুল শিক্ষা দপ্তর তা এখনও করে উঠতে পারেনি। পুর এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে এখনও বর্ধিত পেনশনের প্রয়োজনীয় ফাইল নবান্নে পাঠানো হয়নি। স্বভাতই এই অনাবশ্যক বিলম্বের জেরে বর্ধিত পেনশন এপ্রিলেও পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। অর্থ দপ্তরের এক শীর্ষ আমলার দাবি, উচ্চ শিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও তাতে বিশেষ সুবিধা হবে না। কেননা, এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন পেনশনভোগীদের ‘অপশন ফর্ম’ পূরণের জন্য সময় দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি গড়িয়ে যাবে। ওই ‘অপশন ফর্ম’ জমা করার পর ট্রেজারিগুলি পেনশনভোগীদের সংশোধিত পেনশন হিসেব করে মোট বর্ধিত পাওনা স্থির করবে। এই প্রক্রিয়া করতেও বহুদিন সময় লেগে যাবে। সব মিলিয়ে অতি দ্রুততার সঙ্গে কাজ করলেও এই প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও একমাস সময় লাগবে বলে মনে করছেন তিনি। যে কারণে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ পেনশনভোগীকে অনাবশ্যক অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক মাস।