বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বইমেলা হয়। প্রতিটি বইমেলার নিজস্ব আঙ্গিক ও ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা জেলার বইমেলাগুলিকে তাই একসূত্রে গ্রন্থিত করতে চাই। এই লক্ষ্যে সব জেলা বইমেলার উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা বইমেলার আয়োজকদের মেলা চলাকালীন বিভিন্ন মুহূর্তের স্থির ও ভিডিও ছবি রেকর্ড করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ছবিগুলি একই সঙ্গে সংকলিত করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। পশ্চিমবঙ্গের জেলা বইমেলাও গবেষণার বিষয় হতে পারে। এই বিষয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে গবেষকরা যেন কোনও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি না হন, তা নিশ্চিত করতেই এই ধরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা।
বুধবার মালদহ ছেড়ে যাওয়ার আগে বইমেলা অফিসে এসে এই মেলার উদ্বোধন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন মন্ত্রী। বিভিন্ন সংবাদপত্রে বইমেলা সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদগুলিও দেখে নেন তিনি। বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে শাল ও পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান তৃণমূল নেত্রী সুমালা আগরওয়ালা। ছিলেন বইমেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অর্ণব চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক প্রবোধ মাহাত ও যুগ্ম সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি।
মালদহ বইমেলা সম্পর্কে গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই বইমেলা হয়ে আসছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ এই বইমেলায় আসেন। মালদহের বিভিন্ন অংশের নাগরিকদের মধ্যে সম্প্রীতি ও মেলবন্ধনের পরিসর যোগায় এই বইমেলা। তাই এই বইমেলার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
এদিকে সারা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তার আঁচ লেগেছে মালদহ বইমেলাতেও। এপিডিআর সহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা মন্ত্রী বইমেলাতে আসার খানিকক্ষণ আগে পর্যন্ত বইমেলার প্রবেশপথের কাছে দাঁড়িয়ে এনআরসি ও সিএএ বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের বুকে ও পিঠে ছিল প্রতিবাদ সম্বলিত ফেস্টুন।
এই প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, প্রতিবাদ নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু বইমেলা এই ধরনের প্রতিবাদের সমীচীন স্থান নয়। তবে এদিন ঘুরপথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঠেস দিতে ছাড়েননি সিদ্দিকুল্লা। তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী একজনই হয়। তাই তাঁকে সমগ্র দেশ নেতা বলে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু কেউ কেউ নিজেকে মহাত্মা গান্ধীর সমতুল্য ভাবছেন। তাঁরা দেশবাসীর করুণার পাত্র।
এদিন গ্রন্থাগারমন্ত্রী বলেন, কালিয়াচকে ৫ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা হবে। জেলা প্রশাসন ও গ্রন্থাগার দপ্তরকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাতদিনের জন্য কালিয়াচকে বইমেলা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে মাথায় রাখতে হবে সামনেই বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা। সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, কালিয়াচক বইমেলাই হবে সরকারি উদ্যোগে জেলার দ্বিতীয় বইমেলা।
এদিকে বৃহস্পতিবারও বইমেলা ছিল জমজমাট। নবনীতা দেবসেন ও অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে ভিড় জমান নাগরিকরা। বিকালের ব্যালকনিতে ছিল দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে তরুণ প্রজন্মের নানা ধারার আন্দোলন সংক্রান্ত মনোজ্ঞ আলোচনাসভা। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন বয়সীরা অংশ নেন বইমেলার সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাগুলিতেও।