বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ১৩ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়েছে। বাদ যায়নি রেল স্টেশনও। দক্ষিণ-পূর্ব রেল, মুর্শিদাবাদ ও শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে তাণ্ডব চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। রেললাইনে আগুন লাগানো হয়েছে। ট্রেনের যাত্রীদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে ইটপাটকেল। শিয়ালদহ এসআরপি জেলার অধীন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় আগুন লাগানো হয়েছে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে। কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে রেল পরিষেবা। রবিবারও বিভিন্ন রেল স্টেশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুর, শিয়ালদহ ও হাওড়া এসআরপি জেলা মিলিয়ে পাঁচটি কেস রুজু করা হয়েছে। সবক’টিতেই সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান, গোলমাল পাকানো সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে সবক’টি মামলাই করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে।
গোলমাল থামাতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয়েছে রেল পুলিসকে। এর কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আধিকারিকরা দেখছেন, পর্যাপ্ত ফোর্স না থাকার কারণে বেগ পেতে হয়েছে। অন্য জায়গা থেকে বাহিনী নিয়ে আসার কারণে কিছুটা সময় গিয়েছে। এর সুযোগ নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকে হিংসাত্মক আকার নিয়েছে। রেল পুলিসের এক অফিসারের কথায়, একেই লোকবল কম, অধিকাংশ পদ খালি। তার উপর হঠাৎ করে এই আন্দোলনের জেরে যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে।
ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন পুলিস আধিকারিকরা। পাশাপাশি বাড়তি ফোর্সের বন্দোবস্ত করে রাখতে চাইছেন। সূত্রের খবর, সেই কারণে বিভিন্ন জিআরপি থানার মধ্যে কোন কোন এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ ও স্পর্শকাতর, তা চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে কত ফোর্স রয়েছে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যাতে সেই স্টেশনগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিসকর্মী রাখা যায়। এই নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে রেল পুলিস এলাকায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গোলমালের ঘটনা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। বিভিন্ন ঘটনায় যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং পুলিসকে আক্রমণ করছে, তাদেরকে যাতে চিহ্নিত করা যায়। এর মধ্যে অধরাদের তালিকা তৈরি করা হবে বলে খবর। শুধু ফোর্স রাখলেই হবে না, আন্দোলন, গোলমালের মোকাবিলায় ঢাল, ফুল মাস্ক, বডি গার্ড থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের সামগ্রী রাখাও দরকার। যাতে আন্দোলনকারীরা পাথর ছুঁড়লে বা কর্মীদের আক্রমণ করলে তার মোকাবিলা করা যায়। পাশাপাশি আরপিএফের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ রেলের একটা বড় অংশ তারা দেখভাল করে।