বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সংসদের উচ্চকক্ষে যখন ক্যাব নিয়ে বিতর্ক চলছে, তখনই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ জানালেন জমিয়তে নেতা তথা তৃণমূলের রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সিদ্দিকুল্লা। তাঁর অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের কথা বলে দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীকে অপমান করেছেন অমিত শাহ। ভারতের স্বাধীনতা মুসলমানদের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব হতো না। সিদ্দিকুল্লার দাবি, আরএসএস বা বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বের পূর্বসূরিদের সঙ্গে স্বাধীনতা বা স্বাধীন ভারতের সংবিধানের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধান রচনার জন্য গঠিত কমিটিতে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের প্রতিনিধি ছিলেন মৌলনা হিজবুল রহমান। এদিন সেই ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নষ্ট করতে হিটলারি কায়দায় ক্যাব এনেছে বিজেপি। উল্লেখ্য, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে ক্যাব পাশ হয়েছে। সিদ্দিকুল্লার মতে, ১৩০ কোটি মানুষের দেশে কয়েকজন সাংসদ ভোট দিয়ে ভারতের নাগরিকদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন না। সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় ধর্ম, জাতি, বর্ণগত বৈষম্য নিষিদ্ধ বলা হয়েছে। অথচ অমিত শাহরা সংবিধানের সেই ভাবনাকেই অস্বীকার করে ক্যাব এনেছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাঙালি নেতৃত্বকে ভয় পেয়েছে। তাই ক্যাবের মাধ্যমে বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছেন অমিত শাহ।
সংসদে বিল পাশ হলেও তার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে আন্দোলনের পথে থাকতে চান সিদ্দিকুল্লা। তবে সব কর্মসূচিকে অহিংস রাখতে বদ্ধপরিকর তিনি। এদিন তিনি বলেন, প্রতিবাদ দিবসে কোনও রকম মিছিল বা কুশপুতুল দাহ করার মতো কর্মসূচি নেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, সবটাই শান্তিপূর্ণ হবে। তারপরের দিন থেকে শহরে ও গ্রামেগঞ্জে মিছিল এবং পথসভা করা হবে। জেলাশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই প্রচারের ভিত্তিতে আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতায় সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা। এদিন গোটা রাজ্য থেকে কলকাতায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ক্যাব বিরোধী কেন্দ্রীয় জনসমাবেশ করবে জমিয়েতে উলেমায়ে হিন্দ।