বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুরে অবস্থিত বি আর আম্বেদকর কলেজ। সেখানে বি এড পড়ানো হয়। এই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি এনসিটিই কলেজটিকে দেওয়া ‘রেকগনিশন’ প্রত্যাহার করে নেয়। অন্যদিকে ২৫ জুলাই উপরোক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটিকে দেওয়া ‘অ্যাফিলিয়েশন’ প্রত্যাহার করে। এই অবস্থায় ২২ অক্টোবর কলেজটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু, আদালত তাদের পক্ষে কোনও নির্দেশ দেয়নি। এই অবস্থায় কলেজটির ৩৪ জন শিক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে ৪ ডিসেম্বর বিচারপতি সুব্রত তালুকদার অন্তর্বর্তী এক নির্দেশে বলেন, কলেজ তার নিজস্ব সমস্যার কারণে সরকারি অনুমতি হারাতে পারে। কিন্তু, তার জন্য শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসার উপযোগী ‘প্রভিশনাল’ ব্যবস্থা করতে হবে।
৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে। তাদের আইনজীবী অমিতাভ চৌধুরী আদালতকে জানান, যে কলেজের এনসিটিই অনুমোদন নেই, সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতিও নেই, তাদের আইনত কোনও অস্তিত্বই নেই। বস্তুত, প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। এই অবস্থায় বেঞ্চ পুরো বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে বলেছে। মামলাকারীদের ‘অ্যাকাডেমিক ইয়ার’ যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে বেঞ্চ। পরে মামলায় যুক্ত সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পরে অন্য কোনও কলেজ থেকে পরবর্তী কোনও সেমেস্টারের সঙ্গে এই পড়ুয়াদের এদিন থেকে শুরু হয়ে যাওয়া পরীক্ষা নেওয়া যেতেই পারে।