বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রভাব শুধু বাংলায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ব্রিটিশ আমলের জমি অধিগ্রহণ আইনকে হাতিয়ার করে জনস্বার্থের নামে বলপূর্বক জমি কেড়ে নেওয়ার সরকারি কৌশলের বিরুদ্ধে মমতার আন্দোলন গোটা দেশেই সাড়া ফেলে দিয়েছিল। যার সুবাদে সংশ্লিষ্ট আইনে বদল আনতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার। শুধু তাই নয়, অনশন মঞ্চে মমতা জমিহারাদের জমি ফেরতের যে দাবি তুলেছিলেন, তাও নজিরবিহীন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। শুধু দাবিতেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেত্রী। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে ওই জমি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেই বিধানসভায় আইন এনে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেন তিনি। পরে তাঁর দাবি নিয়ে আইনি লড়াই সুপ্রিম কোর্টে স্বীকৃতি পায়। বাম সরকারের জমি অধিগ্রহণকে বেআইনি বলে জানিয়ে দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত কৃষকদের জমি ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই জমি চাষযোগ্য করে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। স্বভাবতই, সিঙ্গুর-অনশনের এই বর্ষপূর্তিকে স্মরণের রাজনৈতিক তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর ২৬ দিনের অনশন ছিল কৃষকদের স্বার্থে। বলপূর্বক কৃষিজমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সেই অনশন মঞ্চে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এদিন তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।