বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুক্রবার পার্ক হোটেলে আইসিসি আয়োজিত ‘হাসপাতালে অগ্নি নিরাপত্তা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী জাভেদ খান প্রশিক্ষণের বার্তা দেওয়া ছাড়াও দমকল দপ্তরকে একটি স্বল্পমেয়াদি এবং আরেকটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরির কথা বলেন। মন্ত্রীর কথায়, দমকল দপ্তর হোক বা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, নয়া ভাবনা বা পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে যে প্রযুক্তি ও পদ্ধতিতে দমকল দপ্তর ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর কাজ করে, সেগুলিকে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে নতুনভাবে উন্নীত করার প্রয়োজন রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটাতে হবে। আগুন লাগলে কীভাবে আরও দ্রুত রোগী ও রোগীর পরিজনদের বাঁচানো যায়, তার জন্য নয়া প্রযুক্তির প্রয়োজন।
বছর আটেক আগে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৯০জন রোগী প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর গোটা রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রাজ্য সরকার সেই সময় কলকাতার সবক’টি নামী বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে ফায়ার অডিট করিয়েছিল। কিন্তু সেই অডিটের পরেও বেশ কিছু হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এদিন সেই প্রসঙ্গটি টেনে আনেন দমকল দপ্তরের ডিজি জগমোহন। বলেন, শুধু হাসপাতাল নয়, বড় বড় বাণিজ্যিক বহুতল, রেস্তরাঁ সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদেশ থেকে স্প্রিঙ্কলার, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কিনে আনা হচ্ছে। একাধিক পরামর্শদাতাও নিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু যখনই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, দেখা যাচ্ছে, সেই সব অত্যাধুনিক বিদেশি অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করছে না। পরামর্শদাতারাও ততটা প্রশিক্ষিত নন। ফলে হাসপাতাল বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যখন আগুন লাগছে, তখন দমকলের কর্মীরা পৌঁছনোর আগেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিরাট আকার নিচ্ছে। আমরা পরবর্তীকালে দেখেছি, সংশ্লিষ্ট অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাগুলি যথোপযুক্ত নয়। ফায়ার অডিটে একাধিক খামতি ধরা পড়েছে। একাধিক ত্রুটিও আমাদের চোখে পড়ছে। ফায়ার অডিট না হলে এই খামতি চোখে পড়ত না। সেকারণেই তিনি প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাইরে থেকে তৃতীয় অডিটরদের দিয়ে ভালো করে ফায়ার অডিট করার পরামর্শ দেন।
এদিন অবশ্য দমকলের ডিজি একটি নতুন বিষয়ের কথা উত্থাপন করেন। বলেন, আমাদের কাছে বহুতল, হাসপাতাল, রেস্তরাঁ বা কোনও বেসরকারি সংস্থা যখন দমকলের ছাড়পত্র নিতে আসছে, আমরা আবেদনকারীদের বলছি, নির্মাণের সময় একটি ‘ফায়ার স্যাফট’ বা ‘অগ্নি নিরাপত্তা কক্ষ’ তৈরি করতে। যাতে আগুন লাগলে, সেই কক্ষে সবাইকে নিরাপদে ঢুকিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ওই কক্ষ আগুন লাগার পর প্রায় চার ঘণ্টা ঠিক থাকে। কোনও ক্ষতি হয় না। ওই স্যাফট বা কক্ষে বিকল্প সিঁড়ি বা লিফট থাকবে। যা দিয়ে সেই মানুষজন দ্রুত কোনও ফাঁকা এবং নিরাপদ জায়গায় বেরিয়ে আসতে পারবেন।