বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্কুলশিক্ষায় পড়ানোর জন্য আগে থেকেই দু’বছরের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা আছে। সম্প্রতি এআইসিটিই’ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের এমন প্রশিক্ষণ আবশ্যিক করেছে। এবার সেই পথেই ইউজিসি। ওই কর্তার কথায়, নেট, সেট কিংবা পিএইচডি থাকলে তো পড়ানোর যোগ্যতা তৈরি হল। তা নিয়েই তো এতদিন শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন। কিন্তু আমরা চাইছি ক্লাসে গিয়ে যখন একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা পড়াবেন, তিনি যেন ভালোমতো প্রশিক্ষিত হয়ে যান। তাই নিয়োগপত্র পাওয়ার ছ’মাসের মধ্যে নবাগত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
যাঁরা এই প্রশিক্ষণ দেবেন, বর্তমানে তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে। স্টাফ ট্রেনিং কলেজের মাধ্যমেই শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ নেবেন। কিন্তু হঠাৎ কেনই বা এমন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়ল? ইউজিসি কর্তার মতে, বিভিন্ন রিপোর্ট ও সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকদের মান উন্নত করা প্রয়োজন। তাছাড়া অনেক শিক্ষকেরই গবেষণাপত্রের মান ভালো নয়। পিএইচডি নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। সেসব বিচার করেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের মান বৃদ্ধি করার কথা ঠিক হয়েছে।
এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামহলে। এক পক্ষের মতে, এমনিতেই রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। নিয়োগের গতি নিয়েও নানা অভাব-অভিযোগ আছে। সেই অবস্থায় নবনিযুক্ত শিক্ষকরা যদি এক মাসের এই প্রশিক্ষণে যান, তাহলে তো সমস্যা হতে পারে। অপর পক্ষের বক্তব্য, মান উন্নত করতে এমন প্রশিক্ষণ আগেই দেওয়া দরকার ছিল। আগামীদিনে যে তা শুরু হচ্ছে, এটা ভালো পদক্ষেপ ইউজিসি’র।