বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কাজে সহযোগিতার জন্য দ্বিধাহীনভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন আইআইএইচএমআর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা সভাপতি ডঃ পঙ্কজ গুপ্তা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের কাছ থেকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। বাদুড়িয়ায় এই সমীক্ষায় গিয়ে আমাদের কর্মীদের এনআরসি’র লোক ভেবে বাধা দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় সেই সমস্যাও মিটে যায়। ১৬ হাজার ৮০০ বাড়ির মধ্যে ৯৮ শতাংশ বাড়ি থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। জেলাশাসক, পুলিস সুপার থেকে শুরু করে ব্লকস্তরের আধিকারিক—অধিকাংশ জায়গা থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান মানসী মিশ্রা বলেন, শুধু সহযোগিতাই নয়, প্রশাসনের তরফ থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজে সাহায্য করতে যে চিঠি আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেগুলি বয়ান-বক্তব্য এবং অন্যান্যদিক থেকে এতটাই নিখুঁত যে, সারা দেশের মধ্যে সেগুলি ‘মডেল লেটার’ বলে মনে করছি।
বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান প্রভৃতি বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকেও বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পেয়েছে এই সংস্থা। তুল্যমূল্য বিচারে কোন রাজ্যকে বেশি নম্বর দেবেন? এ প্রশ্নে সংস্থার আর এক কর্তা অরিন্দম দাস বলেন, বাংলায় এই কাজ করতে আমাদের কার্যত কোনও সমস্যাই হয়নি। তাছাড়া প্রতি জায়গায় কাজে নামার আগে প্রশাসনের লিখিত অনুমতি হাতে নিয়ে এগিয়েছিলাম। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনির মতো ঘটনা এ ধরনের কাজে যুক্ত সমীক্ষকদের জন্য কতটা বিপদ বয়ে আনছে? এ প্রশ্ন করা হলে আইআইএইচএমআর উপাচার্য অবশ্য মুচকি হেসে উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। শুধু বলেছেন, গণপিটুনি বিষয়টি বির্তকিত। কোনও মন্তব্য করব না।