বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুধু এনআরসি নয়, নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়েও নিজের অবস্থান এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, নাগরিক সংশোধনী বিল—সেটা তো ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা। এতে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তাই এই বিল মানছি না, মানব না। প্রস্তাবিত এই বিলের বয়ান নিয়ে রীতিমতো বিস্মিত মুখ্যমন্ত্রী। বিস্ময়ের সেই রেশ এদিন ফুটে উঠেছিল তাঁর ভাষণেও। মমতার কথায়, কী অদ্ভুত ব্যাপার! একজনকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এর পরের ছ’বছর বিদেশি হিসেবেই কাটাতে হবে তাঁকে। তারপর যদি দয়া হয়, তবেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে নাগরিকত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তখন ভাগ করা হবে শরণার্থী আর অনুপ্রবেশকারী হিসেবে। তাই আমরা (তৃণমূল) এর বিরোধিতা করছি।
সাধারণের কাছে গিয়ে তাঁদের সুখ-দুঃখের বৃত্তান্ত শোনার নিদান দলের সব স্তরে আগেই দিয়েছিলেন মমতা। এদিন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে জনসংযোগের সেই পাঠ পড়িয়েছেন জেলাশাসক তথা অন্য আধিকারিকদের। তাঁর নিদান, গ্রামে যান। মানুষের উঠোনে খাটিয়ায় গিয়ে বসুন, তাঁদের কথা শুনুন। ফিরিয়ে আনুন খাটিয়া কালচার। প্রয়োজনে গিয়ে বসুন তেলেভাজার দোকানে। আধিকারিকদের প্রতি পরামর্শ, আপনারা সরকারের মুখ। আপনাদের সম্পর্কে কেউ খারাপ কথা বললে খারাপ লাগে। যে বা যার সঙ্গে কথা বলবেন, সতর্ক থাকবেন। এমন কিছু বলবেন না, যা এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। জুনিয়র আর সিনিয়র অফিসারদের সম্পর্কে যেন তিক্ততা না আসে। একে অপরকে সম্মান দিন।
গত সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় প্রশাসনিক বৈঠকে তথ্য সংগ্রহে নিজের সমান্তরাল নেটওয়ার্ক সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করে দিয়েছিলেন আধিকারিকদের। এদিন শিলিগুড়ির বৈঠকেও সংশ্লিষ্ট তিন জেলায় পুলিস প্রশাসন, ভূমি সংস্কার দপ্তর, পঞ্চায়েত দপ্তর সহ নানা ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের একের পর এক ক্ষোভের তালিকা আধিকারিকদের সামনে উপস্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এই সব তথ্যই সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির প্রকৃত চিত্র বর্ণনা করে। মানুষকে নাজেহাল আর হেনস্তা করা কোনওভাবেই চলবে না। অহেতুক ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া বা অন্তর্ভুক্তি না করার প্রক্রিয়াও বন্ধ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর গলায় চড়া সুর—এসব না বন্ধ হলে, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।