বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এই শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ছাড়পত্র বজায় রাখা ১০টি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ, তিনটি আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ এবং একটি ইউনানি মেডিক্যাল কলেজ— সব মিলিয়ে বিএইচএমএস, বিএএমএস এবং বিইউএমএস— এমবিবিএস-এর সমতুল্য স্নাতকস্তরের তিনটি পাঠ্যক্রমে ৫৬ শতাংশ আসনই শূন্য পড়ে আছে। আয়ূশ মেডিক্যাল কলেজগুলির মোট আসন রয়েছে ৭৩০টি। ১৬ সেপ্টেম্বর শেষবার কাউন্সেলিং হওয়ার পরও ৪০৯টি আসনই ফাঁকা। ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে অর্ধেকেরও কম, ৩২১টি আসনে। এই ৪০৯টি আসনের মধ্যে ৪২টি সরকারি আসনও রয়েছে!
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের অন্যতম বড় সংগঠন অল বেঙ্গল বিএএমএস ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন-এর চেয়ারম্যান ডাঃ পার্থ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে অভিন্ন মেধা পরীক্ষা নিট চালু করেছে। আয়ূশ পড়াশোনার জন্য নিটে বসতে হবে, সেকথা আমরা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত কিছু মানুষজন ছাড়া ক’জন জানেন? প্রথমত বলব, কেন নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি আয়ূশের ক্ষেত্রে যে এই পরীক্ষায় বসতে হবে, তার প্রচার করল না, সেই তদন্ত হওয়া জরুরি। তারা কি মর্ডান মেডিসিনের আসন ভরানোর জন্য এইসব করছে? পরিকাঠামো বৃদ্ধি, চাকরির সুযোগ বাড়ানোর বিষয় তো আছেই।
আয়ুর্বেদের দেশব্যাপী নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ান মেডিসিনের সদস্য ও আয়ুর্বেদ শাখার অফিসার ইন চার্জ ডাঃ প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র বলেন, প্রচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো বটেই। আয়ুর্বেদ ও আয়ূশের বিভিন্ন শাখায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিষয়ে পাশের পর কাজের ক্ষেত্র যে শুধু সরকারি চাকরির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, সেকথাও রাজ্য-কেন্দ্র সব সরকারকে প্রচার করতে হবে। আর সরকারি এবং বেসরকারি, দু’ধরনের কলেজগুলিতেই পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি প্রয়োজন। ন্যাশনাল আয়ুর্বেদ স্টুডেন্টস অ্যান্ড ইউুথ অ্যাসোসিয়েশন-এর বাংলা, ওড়িশা এবং উত্তর পূর্ব ভারতের কো-অর্ডিনেটর ডাঃ সুমিত সুর বলেন, যে যাই বলুক না কেন, মানুষ আর্থিক নিরাপত্তা চায়। না হলে পড়বে কেন? তাই সরকারি চাকরির ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত করতে হবে।