বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করা আমাদের সংবিধানের মহৎ প্রাপ্তি (রাজ্যপাল গোল্ডেন গিফট কথাটি এই প্রসঙ্গে ব্যবহার করেছেন)। তাঁর মতে, অসহিষ্ণুতার যে কোনও চেহারাই গণতন্ত্রের পক্ষে ধ্বংসাত্মক। একে অন্যের সঙ্গে ভিন্ন মত প্রকাশ করার শালীন পথগুলি শেখা উচিত। কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অসহিষ্ণুতা বেদনাদায়ক ও চিন্তার বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা, পুজোর কার্নিভালে অংশ নেওয়া, তাঁর নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। সরাসরি সংবাদমাধ্যমের কাছে রাজ্য সরকারের কাজকর্ম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন জগদীপ ধনকার। স্বাভাবিকভাবে রাজ্য সরকার এটা ভালোভাবে নেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য না করলেও তৃণমূলের প্রবীণ নেতা ও মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টেপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন। রাজ্যপাল পর্যটকের মতো জেলা সফরে যেতেই পারেন এমন কটাক্ষ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তার উপর তাঁর ভরসা রাখা উচিত ছিল এমন মন্তব্য করেছেন মন্ত্রীরা। রাজ্যপালও সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্ত্রীদের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যপালের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, তাঁর সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন চলার সম্ভাবনাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে কাল, মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। দুই জেলার সুন্দরবন এলাকায় যাবেন তিনি। সেখানে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করতে চাইছেন তিনি।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি পত্রিকায় তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের কপি প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ওই সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য আছে। রাজ্যপাল সেখানে বলেছেন, রাজ্যে একটা ভয়ের পরিবেশ চলছে। জগদীপ ধনকার বলেছেন, রাজ্যের মানুষের হয়ে কাজ করার জন্য তিনি শপথ নিয়েছেন। সেই কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন। এর জন্য কোনও বাধাই তিনি মানবেন না। যে চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, ভীতিহীন ভাবে তার মোকাবিলা করবেন। জেলা সফর ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ভূমিকার স্বপক্ষে বিস্তারিতভাবে সওয়াল করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি কোনও ‘লক্ষ্মণরেখা’ অতিক্রম করেননি। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্যের গরিব মানুষদের কল্যাণের জন্য যে সব কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে, সেগুলির পর্যালোচনা করার সাংবিধানিক অধিকার তাঁর আছে। রাজ্যকে ভালোভাবে জানার জন্য তিনি জেলা সফর করছেন।
এই সাক্ষৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল। জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে কোনও ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেননি। কিন্তু মন্ত্রীরা যা মন্তব্য করছেন, সেটা দুর্ভাগ্যজনক।