বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিকে, জিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে এখন খানিকটা হলেও ‘ব্যাক গিয়ার’ দিয়েছে বিজেপি। মৃতকে সক্রিয় আরএসএস কর্মী হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই খুনের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার খেলায় নেমেছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু খোদ আরএসএস-এর মুখপাত্র বিপ্লব রায়ের কথায়, মৃত ব্যক্তি কয়েকমাস হল সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি আরএসএস-এর শাখা অফিসেও আসতেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন বিপ্লববাবু। তাঁর দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলার ওই অংশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। সেখানে শাঁখ বাজাতেও হিন্দুরা ভয় পান। অভারতীয় তথা অনুপ্রবেশকারী বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ গোটা এলাকাকে কার্যত সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। রাজ্য প্রশাসন ওই অংশে কার্যত নিষ্ক্রিয় বলেও অভিযোগ করেছেন সঙ্ঘের এই কর্তা। যদিও জিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং সহ একাধিক নেতা সরব হয়েছিলেন। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি মৃত ব্যক্তিকে আরএসএস সদস্য হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। যদিও খোদ আরএসএস-এর মুখপাত্র গোটা ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতির যোগ খারিজ করে দেওয়ায় রীতিমতো ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে পদ্ম শিবির। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিকল্প পথ খুঁজতে নেমেছে বিজেপি। সেটি হল— জিয়াগঞ্জের পাশাপাশি আরও কয়েকটি খুনের ঘটনাকে যুক্ত করে রাজ্যের বেহাল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টিকে সামনে আনতে চাইছে তারা। সেই লক্ষ্যেই রাষ্ট্রপতি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ দিল্লির দরবারে যাওয়ার কৌশল নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।