বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বীরভূম জেলায় বোমার রমরমা কারবার নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তারপর এই কারবারে ভাটা তো দূরঅস্ত, উল্টে ব্যবসা বেড়েছে রমরমিয়ে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, এই জেলায় এমন কোনও থানা এলাকা নেই, যেখানে বোমা তৈরি হয় না। ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে ছোট-বড় সকেট বোমা বা সুতলি বোমা। শুধু রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়, সামান্য গোলমালের ঘটনাতেও মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে। আবার প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও তা যাচ্ছে। বোমা তৈরির কাঁচামাল আসে সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে।
বোমা তৈরির এই কারবারে লাগাম টানতে মরিয়া পুলিস প্রশাসন। কিন্তু কোনওভাবেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না। ধরপাকড়ের সময় প্রতিদিনই বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে সকেট বা সুতলি বোমা। তারপরও কোথাও না কোথাও বোমা ফাটার খবর মেলে। বাজেয়াপ্ত হওয়া বা রাস্তায় পড়ে থাকা বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ডাক পড়ে বম্ব ডিটেকশন ও ডিসপোজাল স্কোয়াডের অফিসারদের। এমনকী কোথাও বোমা ফাটলেও তাঁদের যেতে হয়। কোন জেলা থেকে কী পরিমাণ ডাক আসছে, সেই পরিসংখ্যান দেখেই সংশ্লিষ্ট জেলায় বাড়তি কর্মী রাখা হয়। পাশাপাশি পরিকাঠামো বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। দেখা যাচ্ছে, বোমা নিষ্ক্রিয়করণের বিষয়ে গত পাঁচ-ছ’মাসে সবচেয়ে বেশি ফোন এসেছে বীরভূম থেকে। প্রতিদিন গড়ে তিনটি ডাক এসেছে এই জেলা থেকে। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে আধিকারিকদের। তাঁদের ধারণা, বীরভূম জেলাতেই সব থেকে বেশি বোমার কারবার। একাধিক পদক্ষেপের পরেও এই কারবারে রাশ টানা যাচ্ছে না। ফলে জেলার সর্বত্রই বম্ব ডিটেকশন ও ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যদের ছুটতে হচ্ছে। এরপরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলা। এই দুই জেলা থেকে মাসে যথাক্রমে ৩০-৩৫ এবং ১৫-২০টি করে ফোন আসছে।
বীরভূমে বোমা তৈরির কারখানা আটকাতে তাই নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা চিন্তাভাবনা করছে পুলিস। এরজন্য দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। এলাকা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি যারা বোমা তৈরিতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ধারা প্রয়োগ করার ভাবা হচ্ছে। যাতে তারা সহজে জামিন না পায়। একইসঙ্গে ধরপাকড়েও জোর দেওয়া হচ্ছে।