শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
তাহলে মহালয়ার পিতৃপুরুষ তর্পণ কবে করা যাবে এবং দেবীপক্ষের শুরুই বা কবে থেকে? এ বিষয়ে গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকার ব্যবস্থাপক ও গণক পুলক ভট্টাচার্য বলেন, রবির অবস্থান এক রাশিতে থাকাকালীন দু’টি অমাবস্যা কোনও মাসে পড়লে সেটিকে আমরা মলমাস বলি। সামনের বছর অর্থাৎ ইংরেজি ২০২০ সালে মহালয়া এবং বিশ্বকর্মা পুজো পড়ছে ১৭ সেপ্টেম্বর (৩১শে ভাদ্র)। ওইদিন থেকে ১ আশ্বিন যতক্ষণ পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি থাকবে, সেই সময়ের মধ্যেই করা যাবে তর্পণ এবং অন্যান্য ধর্মীয় রীতিনীতি। মলমাসের পরবর্তী অমাবস্যা পড়েছে ১৬ অক্টোবর। সেই দিন বিকেল ৫টা ৪ মিনিট পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি থাকবে। তারপর থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিপদ। যা দেবীপক্ষের শুরু বলে ধরা হবে। সেই হিসেবেই দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ইত্যাদি আসতে থাকবে। পরবর্তী অমাবস্যাতে হবে কালীপুজো। যা মহালয়ার দিন থেকে ধরলে প্রায় দু’মাস।
এ বিষয়ে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রকাশক তথা কর্তা সুপর্ণ লাহিড়ী বলেন, মহালয়ার দিনের অমাবস্যা যতক্ষণ থাকবে, সেই সময়ের মধ্যেই তর্পণ করা যাবে। তাঁর মতে, ১ আশ্বিন অমাবস্যা থাকছে বিকেল ৪টে ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এর মধ্যেই তর্পণ শেষ করতে হবে। মলমাস শেষ হচ্ছে ৩০ আশ্বিন তথা ১৬ অক্টোবর রাত্রি ১টা ১ মিনিট পর্যন্ত। তার পর থেকে দেবীপক্ষ শুরু হবে এবং বাকি সব তিথি গণনা করে স্বাভাবিক চলবে। সর্বভারতীয় প্রাচ্য বিদ্যা আকাদেমির অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুশারী বলেন, মলমাসে কোনও শুভকাজ করা যায় না। লিপ-ইয়ার যেমন চার বছর অন্তর ফিরে আসে, তেমনি প্রতি ২ বছর ৩ মাস থেকে ২ বছর ৯ মাসের মধ্যে মলমাস ফিরে আসে। এতে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। এমনটা এর আগে ১৯৮২ সালে এবং ২০০১ সালেও হয়েছে বলে জানান সুপর্ণবাবু ও পুলকবাবু।