অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানেই জমা পড়ে লিখিত রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতির। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পুলিস যা উদ্ধার করেছে, তার মধ্যে রয়েছে দশটি টায়ার, তিনটি ইঞ্জিন আর কয়েকটি ভাঙা দরজা। এই রিপোর্ট দেখে রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, ‘বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটকে সতর্ক হতে বলুন। কয়েকটি থানা দিনের পর দিন আদালতের সঙ্গে খেলা করছে। এর পরিণতি কিন্তু খুব খারাপ হবে’। এরপর বিচারপতি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে মামলাকারীও জড়িত। রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা মামলাকারীর আইনজীবীকেও কি ফিট করে ফেলছেন? এটা হতে দেওয়া যাবে না। কেন আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন? কেন আদালতকে মিথ্যা কথা বলছেন এই আইসিরা? বিধাননগর কমিশনারেটে আট-দশজন আইসি রয়েছেন, যাঁরা মিথ্যা বলে কোর্টকে বিভ্রান্ত করছেন।’ রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি আরও বলেন, ‘এবার কি আমি সেইসব আইসি’র বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব?’
এরপর মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, থানার তরফে গাড়িগুলির খোঁজ পাওয়া নিয়ে যেদিন মৌখিক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, সেদিন আপনিও তাতে সম্মতি জানিয়েছিলেন। কেন? রাজ্যের সঙ্গে কি যুক্তি করে এসব করছেন? এই প্রবণতা বরদাস্ত করা যায় না।’ আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন বিচারপতি। ওইদিন মামলাকারীকে সশরীরে এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ।