কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
উত্তর কলকাতার শোভাবাজার স্ট্রিট। তা ধরে গঙ্গার দিকে এগলে বটকৃষ্ণ পালের বাসভবন। তাঁর বাড়িতে শতবর্ষ ধরে হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। শুরু থেকেই আকন্দের তুলো দিয়ে তৈরি হয় সিংহ। শুরু থেকেই দেবীর দেহে জরির সাজ। সোনালি রঙের সে সাজ ঝলমলে। আলো পড়লে আরও ঝকমক করে। ঠাকুরের সোনারবরণ। এছাড়াও আসল সোনার গয়না আর বেনারসি শাড়ি পরানো হয় ঠাকুরকে। প্রসঙ্গত, বটকৃষ্ণ পালের বাড়ি এখন এ গ্রেড হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত।
নবমীর সন্ধিপুজোয় এখনও বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়ে পাল পরিবার। এছাড়া গুলি ছোঁড়া হয় বিসর্জনের সময়। তাঁদের বক্তব্য, সন্ধিপুজো এবং বিসর্জন শুরুর বার্তা অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে দিতেই এই নিয়ম। এই রীতি চলে আসছে বংশ পরম্পরায়। এর পাশাপাশি এখন এই এলইডি আলোর যুগেও নিরঞ্জনের সময় কার্বাইড গ্যাসের আলো জ্বলে পাল বাড়িতে। সে নরম আলো পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় গঙ্গা পর্যন্ত। তখন উপস্থিত থাকে পরিবারের সদস্যরা। কুমোরটুলির গৌর পাল এই বাড়ির প্রতিমা গড়তেন। বর্তমানে তাঁর ছেলে করছেন। পরিবারের সদস্য অরিন্দম পাল বলেন, ‘নবমীর বিভিন্ন প্রহরে সপ্তমী, অষ্টমীর পুজো হয়। মাকে নিবেদন করা হয় ৪০ কেজি চালের নৈবেদ্য।’ জানালেন, নৈবেদ্যে থাকে নানা ধরনের ফল ও আনাজ। বিশাল আকারের কাঁসার থালায় তা সাজানো হয়। একশো ঝুনো নারকেল দিয়ে তৈরি হয় নাড়ু। ঢাউস আকারের কড়াইয়ে নাড়ুর পাক হয় অনেক্ষণ ধরে। থাকে একাধিক মিষ্টি। পরিবারের মহিলারা বিভিন্ন প্রহরে ধুনো জ্বালান। পুজোর দিন মানুষের হাতে হাতে প্রসাদ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার পাল বাড়িতে ঠাকুরের বেদী সাজানোর কাজ চলেছে। সিংহের গায়ে আকন্দের তুলো চাপছে। লোকজনের তৎপরতা দেখা গিয়েছে দিনভর। পুজো উপলক্ষ্যে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে একত্র হবেন। ধুমধাম করে হবে শতবর্ষ প্রাচীন জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। ভেঙে পড়বে ভিড়। বটকৃষ্ণ পালের বাড়িতে তারই প্রস্তুতি চলছে এখন। -ফাইল চিত্র