পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন দুই একটি জায়গা ছাড়া, সর্বত্র সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। উষ্ণতার নিরিখে এদিন পানাগড়কে হারিয়ে দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডা। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.২ ডিগ্রি ছিল পানাগড়ে। এই দুটি জায়গা ছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ডহারবার ও হলদিয়ায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি বেশি হলে তাকে তাপপ্রবাহ বলা হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৫ ডিগ্রি বেশি হলে তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি করে। ডায়মন্ডহারবারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৮.১ ডিগ্রি বেশি ছিল। হলদিয়া ও পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। উত্তরবঙ্গে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১-৪২ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
আগামী সোমবার পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ চলতে পারে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, হাওড়া ও হুগলি জেলার কিছু জায়গায়। সামগ্রিকভাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গে এবং উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় তাপপ্রবাহ থাকবে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা গরম ও শুষ্ক হাওয়া এবং চড়া রোদ এই তাপপ্রবাহের কারণ। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পের প্রবেশ কমে গিয়েছে। তাই বজ্রগর্ভ মেঘ এবং ঝড়বৃষ্টির পরিস্থিতি সৃষ্টিতে বাধা পাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয়ের অবস্থান পরিবর্তন না-হওয়া পর্যন্ত জলীয় বাষ্পের প্রবেশ বাড়বে না। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থাকবে ওড়িশাতেও।