গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সকাল প্রায় সাড়ে ৭টা থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু ঘটনার রেশ থেকে যায় প্রায় দুপুর পর্যন্ত। পূর্ব রেলের হাওড়াগামী এবং হাওড়া থেকে ছাড়া প্রতিটি ট্রেনে ভিড় উপচে পড়ে। বহু যাত্রী ভিড়ের চাপে একের পর এক ট্রেন ছাড়তে বাধ্য হন। অনেকে ফিরেও যান উপায় না দেখে।
এদিন সকাল ৫টা ৪৯ মিনিটে ডাউনে শেষ ব্যান্ডেল লোকাল হাওড়া পৌঁছয়। তারপরই শুরু হয় বিপত্তি। ডাউনের বহু ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকে। অফিসযাত্রীরা অনেকে বিভিন্ন স্টেশন থেকে টোটো বা অটো চেপে সড়কপথে গন্তব্যে যান। ভোরের দিকে সেই বিকল্প ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত না থাকায় অনেকে হেঁটে এগতে থাকেন। মওকা বুঝে টোটো-অটো ১০ বা ২০ টাকার জায়গায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া হাঁকিয়েছে। বেলানগর, ডানকুনির মতো স্টেশনে কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে যায়। ভারী লাগেজ নিয়ে লাইনের উপর দিয়ে বহু মানুষ হাঁটতে শুরু করেন। বেলুড়ের নিত্যযাত্রী অপরাজিত বসু বলেন, ‘আজ এসে শুনি ট্রেন বন্ধ। দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেক্ষণ। অবশেষে কোনও উপায় না পেয়ে আমরা কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি ভাড়া করে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত এসেছি।’ বেলানগর স্টেশনে আটকে পড়া একটি ট্রেন থেকে নামেন শর্মিলা কয়াল। টোটোয় চেপে বালি স্টেশন পর্যন্ত বাস ধরেন তিনি। বলেন, ‘হাওড়া স্টেশনে নেমে মেদিনীপুরের ট্রেন ধরার কথা ছিল। দীর্ঘ সময় বেলানগর স্টেশনে আটকে ছিলাম। বাধ্য হয়ে নেমে যাই। স্টেশনে এসে দেখছি, এখানে একেবারে ভিড়ে ভিড়াক্কার অবস্থা।’
এই বিপত্তির জেরে শুধু যে হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনেই ভোগান্তি হয়েছে, তা নয়। গোঘাট-হাওড়া শাখাতেও এদিন দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। আরামবাগ স্টেশনে ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা অর্পিতা ভাণ্ডারী, পূজা পালরা বলেন, ‘আমরা সকালের ট্রেন ধরে কলকাতা যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসেছিলাম। এসে শুনছি ৬টা থেকে থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ। পরপর তিনটি ট্রেন ছাড়েনি। কী কারণ, তাও জানাচ্ছে না।’ সকাল ন’টা বেজে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।