গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, আমার বিধায়ক কোটার টাকায় অডিটোরিয়াম থেকে রাস্তা, সেচের ব্যবস্থা হয়েছে। জেলা পরিষদের টাকায় প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। আমরা বিদায়ী সাংসদের কাছে শ্বেতপত্র চাইছি, তিনি দেখিয়ে দিন সপ্তগ্রামের জন্য কী করেছেন? বাঁশবেড়িয়া পুরসভার বাইপাস রাস্তা, গুরুত্বপূর্ণ নিকাশি নালার কাজ রেলদপ্তরের অবহেলায় হচ্ছে না। সাংসদকে কখনও হস্তক্ষেপ করতে দেখিনি। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, স্কুলে পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা থেকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন সাংসদ। স্থানীয় সমস্যা নিয়ে বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন কখনও সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। উল্টে তিনি নিজে থেকে কাজ করতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়েছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অনিয়ম নিয়ে একদা জনরোষ তৈরি হয়েছিল। আমরা সবই মানুষের কাছে প্রতিদিন তুলে ধরছি। জনতার দরবারে আমাদের শ্বেতপত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের শাসক বনাম কেন্দ্রের শাসকদলের জোর প্রচার, পাল্টা প্রচারের মাঝে দু’দলকেই বিঁধছে বামেরা। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলেন, সাংসদের কাজ রাস্তা ও নিকাশি নালা বা আলোর ব্যবস্থা করা নয়, এলাকার সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা। সেই কাজে বিদায়ী সাংসদ ব্যর্থ। আর তৃণমূলের উন্নয়ন মানেই তছরুপ। নাগরিকদের কাছে সেই বাস্তবতাই আমরা তুলে ধরছি।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভা ও সপ্তগ্রামের গ্রামীণ এলাকায় এখনও ইতিহাসের টুকরো স্মৃতি সহজেই চোখে পড়ে। সাবেক বংশবাটি তালুকে হংসেশ্বরী মন্দির, গঙ্গার পাড়ে সপ্তর্ষিঘাট, ত্রিবেণীর পূণ্যতীর্থ এই জনপদেই আছে। তৃণমূলের বিভাজন ও বামেদের ভোটব্যাঙ্কের জোরে বিজেপি সপ্তগ্রামে এক সময় কিছুটা জমি পেয়েছিল। নেতৃত্বের দাবি, বর্তমানে বামেদের ভোটব্যাঙ্ক তাদের দিকেই ফিরছে। অন্যদিকে, নিবিড় সংগঠনের জোরে তৃণমূল যে কোনও টক্কর নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ফলে, তিনদলের প্রচারের লড়াইয়ে বুঁদ হয়ে আছে সাবেক বংশবাটির মাঠঘাট, জনপদ।