শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এদিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত পদযাত্রা করে তৃণমূলের মহিলা শাখা। সেখানে নেতৃত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ধর্মতলায় একটি সভাও করা হয়। আর সেখান থেকে কার্যত কলকাতায় ভোট প্রচারের দামামাও বাজিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ করে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন নরেন্দ্র মোদি। শিলিগুড়ি থেকে তার কড়া জবাব দিয়েছেন মমতা। কিন্তু আরও কিছু উত্তর দেওয়া বাকি ছিল। এদিন সেটাও করে ফেললেন তিনি। ব্যঙ্গ আর ঝাঁঝ মেশানো গলায় বললেন, ‘সিন্ডিকেটের দুই নেতা—মোদিবাবু আর শাহবাবু। তাঁরা বাংলায় এসে মিথ্যা কথা বলেন।’
বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মোদি-শাহের ‘মিথ্যা’র জবাবে এদিন গুজরাত-উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি টেনে আনেন মমতা। মনে করিয়ে দেন, বাংলার মেয়েরা রাত ১০টা, ১২টার সময় ঘুরে বেড়ান। আবার ভোর চারটের সময় কর্মস্থলে যান। হাজার হাজার আশা কর্মী রয়েছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে বাংলার মেয়েরা যুক্ত। তাঁরা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত। আর এর ঠিক উল্টো ছবিটা বোঝাতেই তুলে ধরেন গুজরাতের প্রসঙ্গ। ‘ক্রাইম এগেইনস্ট উইমেন’-এর তথ্য উপস্থাপন করে মমতা বলেন, মোদি-শাহের মডেল গুজরাত। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, সেখানে গত দু’বছরে প্রতি দিন দু’টি খুন ও চারটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও গুজরাত সরকারের পেশ করা হিসেবে দু’বছরে ঘটেছে ১৯৪৪টি খুন, ৩০৯৫টি ধর্ষণ, ৪৮২৯টি অপহরণ ও ১৮৫৩টি খুনের চেষ্টার ঘটনা। ধর্ষণের অভিযোগে শীর্ষে আমেদাবাদ আর উত্তরপ্রদেশ।
রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার ডাক দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এদিন আবারও পাল্টা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘আগে দিল্লি সামলা, তারপর ভাববি বাংলা। যতই কর হামলা, জবাব দেবে বাংলা।’ সেই সঙ্গে মোদির ব্রিগেড সমাবেশকে ‘বি-গ্রেড’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। দাবি করেছেন, বিজেপির সভায় যত জনসমাগম হয়েছিল, তা ছাপিয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তৃণমূলের এই কর্মসূচি। বিজেপি টাকা দিয়ে লোক এনেছে। কিন্তু তৃণমূলের সভায় মানুষ এসেছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।
এবার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের লড়াই অনেক আলাদা। সেকথাও উঠে এসেছে মমতার বক্তব্যে। তিনি এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁকে লড়তে হচ্ছে অনেক কিছুর বিরুদ্ধে। এই লড়াইকে ‘বিজেপি বনাম আমার’ বলে তুলনা টেনেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, একুশের এই ‘ঐতিহাসিক লড়াই’তে মমতার সঙ্গী মানুষ। আর বিজেপির সঙ্গী টাকা, গুন্ডা। তবে লড়াই যাই হোক, ‘খেলায়’ যে তৃণমূলই জিতবে, সেই সুর উচ্চকণ্ঠে তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শপথ নিয়েছেন—নারীরাই বাংলা গড়বে। ভাইরা পাশে থাকবে।
এদিন করোনা ভ্যাকসিনের সাটিফিকেটে মোদির ছবি ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কটাক্ষ, ওটা তো কোভিড ভ্যাকসিন নয়, মোদি ভ্যাকসিন! স্টেডিয়াম নিজের নামে করেছেন। ইসরোকে তাঁর ছবি মহাকাশে পাঠাতে বলেছেন। এরপর কবে হয়তো গোটা দেশটাই নিজের নামে করে দেবেন!